দেশের আর্থিক মন্দার বাজার অব্যাহত। একাধিক ছোট, মাঝারি শিল্পের ওপর পড়ছে এর প্রভাব। এই আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ মোদী সরকার। একাধিক পন্থা নিয়েও জিডিপি বৃদ্ধি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই ঘাটতি পূরণ করতে সাধারণ মানুষের গলায় কোপ ফেলতে চলেছেন মোদী। পণ্য ও পরিষেবা করের (জিএসটি) পরিমাণ পাঁচ শতাংশ থেকে আট শতাংশ করার কথা বিবেচনা করছে জিএসটি কাউন্সিল। বর্তমানে জিএসটির হারের চারটি স্তর রয়েছে – ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ। এই চারটি স্তর কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জিএসটি কাউন্সিল চাইছে, করের নতুন হার করা হোক ৮ শতাংশ, ১৮ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ।
যদি নতুন এই হারে অনুমোদন দেয় জিএসটি কাউন্সিল, তা হলে নামী সংস্থার প্যাকেট করা শস্য, মোবাইল ফোন, পিৎজা, ট্রেনের বাতানুকুল কামরার টিকিট, বিমানযাত্রা, দামি হাসপাতালের শয্যা, পেন্টিং, নামী ব্র্যান্ডের পোশাক এবং লিনেন-রেশমের মতো সূক্ষ্ম তন্তুর। মনে করা হচ্ছে, আয় বাড়াতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। এ বছর জুলাই মাস থেকেই জিএসটি আদায় নিম্নমুখী। বহু রাজ্যই জিএসটি বাবদ তারা তাদের পাওনা অর্থ পায়নি, তাই ১৮ ডিসেম্বর গোয়ায় শুরু হতে চলা ৩৮ তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা।
পণ্য ও পরিষেবা করের সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে বিলাসবহুল দ্রব্য। এই সব জিনিসের উপরে সেস চাপিয়েও রাজকোষে আয়ের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না সরকারের। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “সেস বাবদ মোটামুটি ৭,৭২০ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। এই আদায় মাসে সর্বোচ্চ দশ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু ২০২০ সালের এপ্রিলে এই আদায়ের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা হতে হবে। তাই নতুন কাঠামোকে আরও যুক্তিপূর্ণ করতে হচ্ছে।”