নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা প্রধান জাটিয় মুখপাত্র দেড়েক ও’ব্রায়েন। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘এই নাগরিকত্ব বিল বাংলা তথা ভারত বিরোধী।’ স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, বাঙালিকে দেশপ্রেম শেখাতে আসবেন না। বিলের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার নাগরিকত্ব বিল পেশের পরও উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের রাজ্যসভা। বক্তব্য পেশ করতে উঠে অ্যাডলফ হিটলারের সময়ের জার্মানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতের তুলনা করেন ডেরেক। তিনি বলেন, ‘ভারত গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে। অনুমতি দিন আমাকে এবিষয়ে আপনাদের সামনে তথ্য তুলে ধরার জন্য।’ এরপর তিনি বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরে দাবি করেন ভারত কী ভাবে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে। ডেরেক বলেন, ‘জার্মানিতে ছিল কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। আমরাও ক্যাম্প বানাচ্ছি, যেখানে মানুষ বন্দী মতো বাঁচবে।’
এদিন আক্রমণাত্মক সুরে তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, ‘জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার বলত জার্মান রক্তের কথা। ভারতে আমরা পাচ্ছি জাতীয়তাবাদের ধারণা। জার্মানিতে ছিল ইহুদি নিপীড়ন। ভারতে আমরা দেশব্যাপী এনআরসি পেতে চলেছি। জার্মানিতে প্রোপাগন্ডা ছিল। আর ভারতে সংবাদমাধ্যমকে কাজ করতে হচ্ছে ভয়ের মধ্যে। প্রচার করতে হচ্ছে সরকারি অ্যাজেন্ডা।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকার কাজ করছে তিনটি বিষয়ে – ঝুট, ঝানসা ও জুমলা।’
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও নাগরিকপঞ্জীর তৈরির মতো উদ্যোগের ফলে দেশের প্রকৃত নাগরিকরা তাদের দেশ হারাবেন। অসমে নাগরিকপঞ্জীর পাইলট প্রোজেক্ট ভেস্তে গিয়েছে। তার পরেও সরকার বলছে দেশের অন্যান্য ২৭ রাজ্য তা চালু করবে। আসামে ডিটেনশন শিবিরে যাদের আটকে রাখা হয়েছে তাদের ৬০ শতাংই হিন্দু।’