ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রের, হাল-হকিকত বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে রাজ্যের ধুঁকতে থাকা শিল্পক্ষেত্রগুলিতে যেমন নয়া প্রাণ সঞ্চার করেছে, তেমনি গড়ে উঠছে নানা শিল্পতালুকও। শুধু তাই নয়। বাংলায় বিনিয়োগ বাড়ানোকে পাখির চোখ করে বারবারই গিয়েছেন বিদেশ সফরে। সর্বত্রই শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে তাঁর আহ্বান ছিল, রাজ্যে বিনিয়োগের সহায়ক পরিবেশ রয়েছে। আপনারা বাংলায় লগ্নী করুন। এই নিয়ে বারবার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হলেও তাদের মুখে ঝামা ঘষে বাংলায় লগ্নীর জোয়ার এনেছেন মমতা। এবার রাজ্যের শিল্পায়নে ফের সুখবর। বাংলায় বিনিয়োগ করতে চলেছে ‘লাইফাই’ নিয়ে কাজ করা প্রথম সারির ইন্দো-জাপান কোম্পানি।
উল্লেখ্য, ওয়াইফাইয়ের চেয়ে আরও উচ্চ গতির আধুনিক মানের ডেটা ট্রান্সমিশন করা যায় এই ‘লাইফাই’ প্রযুক্তিতে। এই প্রথম রাজ্যে লাইফাই সংক্রান্ত সংস্থার বিনিয়োগ হতে চলেছে। নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ওই ইন্দো-জাপান টেকনোলজি কোম্পানির জন্য ১৫ কাঠা জমি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। রিলায়েন্স জিও, টিসিএস, ফার্স্ট সোর্স আগেই সেখানে জমি পেয়েছে। এবার এই কোম্পানি সেখানে জায়গা পেল বলে হিডকো সূত্রে জানা গেছে। হিডকোর এক আধিকারিক জানান, ওই সংস্থা যা নিয়ে কাজ করবে, সেই ‘লাইফাই’ হচ্ছে ওয়ারলেস অপটিক্যাল নেটওয়ার্কিং টেকনোলজি। ওয়াইফাইয়ের চেয়েও এর গতি অনেক বেশি। ওয়াইফাইয়ে ব্যবহৃত হয় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। তার চেয়েও ১০ হাজার গুণ বেশি ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম ব্যবহৃত হবে লাইফাইয়ে।