লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করল কংগ্রেস।
সোমবার লোকসভায় পাশ হওয়ার পর বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিনও দেশ ভাগের দায় কংগ্রেসের উপরে চাপান তিনি। বিতর্কে অংশ নিয়ে ঘুরিয়ে তোপ দাগেন কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশভাগের দায় কংগ্রেসের স্বাধীনতা সংগ্রামের উপরে চাপাতে চাইছেন। এভাবে ইতিহাস বদলানো যায় না। দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারণা দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। আর তার নেতা ছিলেন বিনায়ক সাভারকার। ওই ধারণা মেনে নিয়েছিল মুসলিম লিগও। ইতিহাসকে বিকৃত করার একটা সীমা থাকে।’
এখানেই থামেননি আনন্দ শর্মা। তিনি আরও বলেন, ‘দেশ ভাগের আইন পাশ হয়েছিল ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে। হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লিগই লর্ড লিনলিথগোকে চিঠি দিয়েছিল। আপনারা কেন সে সময়ের ব্রিটিশ শাসকের ভূমিকা অস্বীকার করছেন?’ তাঁর কথায়, ‘অনেকেই ইতিহাস বদলানোর চেষ্টা করেছে অতীতে। কিন্তু তারা কেউ সফল হয়নি।’
এদিন বিল পেশ করার সময়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘আমরা কোনও রাজনীতি করছি না। ভোটের আগে কর্মসূচিতে যা বলেছিলাম, সেটাই করছি।’ এদিন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আপনি রাজনীতি করবেন না বলেও রাজনীতিই করছেন। এই বিল ভারতের ধারণা, সংবিধানের উপর আঘাত।’
এদিন টুইটে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, এই নাগরিকত্ব বিলের মাধ্যমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনজাতিগুলিকে ধ্বংস করতে চাইছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাহুলের সুর ধরেই আনন্দ শর্মা রাজ্যসভার বিতর্কে বলেন, ‘কেন এই বিল নিয়ে মানুষের মধ্যে এত আতঙ্ক? কেন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি অচল হয়ে পড়েছে? কেন জ্বলছে আসাম? জবাব দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’