পেঁয়াজের দাম নিয়ে নাকানিচোবানি অবস্থা মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তের। সস্তায় পেঁয়াজ দিতে সরকারও ব্যবস্থা নিয়েছে। সোমবার বাজার মূল্য খতিয়ে দেখতে, কেন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তা বুঝতে সটান যদুবাবুর বাজারে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/2480861975532872/
এদিন সকালে নবান্নে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে প্রথমেই ভবানীপুরের যদুবাবু বাজারে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানেন, বাজারে ১৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে জানতে চান, কেন এত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন? কত দামে তাঁরা পেঁয়াজ কিনছেন? কোথা থেকে পেঁয়াজ আনছেন? জবাবে, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁরাই ১৪৫ টাকা দামে পেঁয়াজ কিনছেন। পেঁয়াজের দাম নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পর গাড়িতে উঠে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। নামার কোনও লক্ষ্মণই নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আজ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজে ময়দানে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, দাম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সোমবার থেকেই রেশনে পেঁয়াজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বাজারদরের অর্ধেক দামে রেশনে মিলবে পেঁয়াজ। রবিবার একথা জানান রাজ্যের মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আপাতত পাইকারি বাজার থেকে ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ কিনে ৯৩৫টি কাউন্টারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। এর খরচ বহন করবে সরকার। পরিবার পিছু ১ কেজি পেঁয়াজ দেবে সরকার। কেজি পিছু দেওয়া হবে ৫০ টাকা ভর্তুকি। এক্ষেত্রে পেঁয়াজের দাম পড়তে পারে ৫৯ টাকা প্রতি কেজি।
এরপরই আজ সকাল থেকে কলকাতার রেশন দোকানগুলিতে মানুষের লাইন লক্ষ্য করা যায়। সোমবার সাধারণত বন্ধ থাকে রেশন দোকান। কিন্তু পেঁয়াজ বন্টনের জন্য দোকান খোলা রাখার নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। রাজস্থানের আলওয়ার থেকে এই পেঁয়াজ এসেছে। উত্তর কলকাতার শোভাবাজার, মুচিপাড়া, শিয়ালদহ এলাকায় রেশন দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে এই পেঁয়াজ।