তেলেঙ্গানার এনকাউন্টার বিষয়টি নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হল। এনকাউন্টারে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দাবি করে মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী জিএস মানি এবং প্রদীপ কুমার যাদব। ২৮ নভেম্বর গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয় পশুচিকিৎসককে। এরপর পুলিশ ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ২৯ নভেম্বর। ৬ ডিসেম্বর ভোরে ঘটনার পুনর্নির্মাণের কাজ চলার সময় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ওই চার অভিযুক্তের।
সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে বলা হয়েছে, এনকাউন্টারের সময় ২০১৪-য় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মানেনি তেলেঙ্গানার পুলিশ। ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ আদালতের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল এনকাউন্টারের সময় ১৬ টি বিষয় মেনে চলতে হবে।
সর্বোচ্চ আদালতে অবশ্য আরও একটি আবেদন জমা পড়েছে এই বিষয়টি নিয়ে। সেখানে তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠনের জন্য দাবি তোলা হয়েছে। আইনজীবী এমএল শর্মা এই আবেদন দাখিল করেছেন। অন্যদিকে রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন এবং দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। কেননা এই দুজন এনকাউন্টারকে সমর্থন করেছিলেন।
এদিকে ঘটনার তদন্তে এদিন সকালে হায়দরাবাদে গিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। এর আগে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের তরফে দেহ সংরক্ষণের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে তেলেঙ্গানার চেরপল্লি জেল থেকে অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয়, ঘটনাস্থলে। পুলিশের দাবি, সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই সময় চার অভিযুক্ত পুলিশকে আঘাত করে অস্ত্র নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশ চার অভিযুক্তকেই গুলি করে মারে।