রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত চরমে। রাজ্যপালের দিকে বারবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েও কোনো লাভ হয়নি। সহযোগিতার বদলে রাজ্যপালের তরফ থেকে এসেছে বিরুদ্ধাচরণ। এইদিন বিধানসভা বন্ধ থাকা সত্বেও সেখানে পৌঁছে যান তিনি। আর তারপরই সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বসেন। আর তাতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়া দেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘অধ্যক্ষের চিঠি পাওয়া সত্বেও উনি নিজে-নিজে গেলেন, ২ নং, ৩ নং গেট ঘুরতে-ঘুরতে ভেতরে ঢুকলেন! উনি গণতন্ত্রকে শক্ত করতে চাইলে বিলগুলো সই করে বিধানসভা চলতে দিতে পারতেন অথবা বিলগুলোতে ভুল হয়ে থাকলে ডেকে বলতে পারতেন!’
এখানেই থামেননি তৃণমূলের মহাসচিব। বলেন, ‘এতই যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন রাজ্যপাল, তাহলে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আদায় করুন। দক্ষিণেশ্বর গেছেন, বলব কালীঘাট যান, রবীন্দ্রনাথের বাড়ি যান। চিড়িয়াখানাও যান। সেখানেও অনেক জনসংযোগ হতে পারে, চান্স বেশি!’
এরপরই অন্যান্য রাজ্যপালদের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যপাল বিচক্ষণ ব্যক্তি নন, প্রাক্তন রাজ্যপালদের সঙ্গে মিশেছি। বামপন্থীদের অনেক শক্তিশালী রাজ্যপালদের মুখোমুখি হতে দেখেছি। কিন্তু এমন দেখিনি।’ রাজ্যপাল ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ বারণ করেছে ঘুরতে। ঘুরুন। কিন্তু সরকারের পয়সা নষ্ট করবেন না।’ পশ্চিমবঙ্গের সদ্যপ্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে জগদীপ ধনখড়ের তুলনা টানতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘লোকে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কবিতা শুনতে যেত, এখন প্রেস যাচ্ছে ওনার ভাষণ শুনতে!’