নয়াদিল্লি: আহমেদাবাদ বিমান বিপর্যয়ের আবহে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। দুর্ঘটনার পর প্রায় দু’দিন কেটে গেলেও এখনও জানা যায়নি তার আসল কারণ। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাখির ধাক্কাতেই(Bird Infestation) নাকি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর তা ঘিরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মোদী-শাহ। দু’বছর আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল, দেশে দিল্লির পরে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরেই বিমানে পাখির ধাক্কার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। নিজের রাজ্যে এহেন সমস্যার সুরাহার কথা ভাবেননি কেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ? প্রশ্ন উঠেছে একাধিক মহলে। সরব বিরোধীরা।
Read More: দুর্ঘটনার আসল কারণ কী! পাইলটের পাঠানো বিপদ সংকেত ঘিরেই ঘনাচ্ছে রহস্য
বিগত ২০২৩-এর ১৮ ডিসেম্বর সংসদে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে বন্যপ্রাণীর আঘাতের ঘটনা, তথা পাখির আঘাত(Bird Infestation) সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তারই উত্তরে কেন্দ্রের তরফে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গুজরাটের বিমানবন্দরে বিমানে পাখির আঘাতের ঘটনা ১০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, তৎকালীন অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং (অবসরপ্রাপ্ত) সংসদে জবাবি ভাষণে জানিয়েছিলেন, ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত পাখির আঘাতের কারণে কোনও বিমান বিপর্যস্ত হয়নি। সেই উত্তরের সঙ্গে যে তথ্য সারণী দেওয়া হয়েছিল তাতে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ৭১০টি পাখির আঘাতের ঘটনা রিপোর্ট করে শীর্ষে রয়েছে নয়াদিল্লি। দ্বিতীয় স্থানেই আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (৩১৯টি ঘটনা)। তৃতীয় স্থানে ছিল বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (২১৭টি ঘটনা)। সেখানে আহমেদাবাদের জন্য যে তথ্য ছিল, তা স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তাজনক। তাতে বলা হয়েছিল, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ঘটনা ১০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩৯ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮১টি পাখির আঘাতের ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল রিপোর্টে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933866813491904755