প্রতিবেদন : অবশেষে ‘শাপমোচন’। জয়ের আলোয় ঘুচল ‘চোকার্স’ তকমার দীর্ঘ আঁধার। সেমিফাইনাল, ফাইনালে হারার বিষাদময় ধারাবাহিকতাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৭ বছর পর ফের প্রোটিয়াদের ঘরে এল আইসিসি ট্রফি।(Icc World Test Championship) ১৪ জুনের লডর্স হয়ে উঠল রূপকথাময়। অজিদের হারিয়ে ২০২৩-২৫ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেন টেম্বা বাভুমারা। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন আইডেন মার্করাম (১৩৬)।
Read More: ডিএনএ রিপোর্ট আসতে ৭২ ঘণ্টা! গুজরাটের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ বিমান বিপর্যয়ে মৃতের পরিবাররা
ম্যাচের প্রথম দুদিন দাপট ছিল পেসারদেরই। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। লর্ডসের মেঘলা আকাশ ও পিচের সুইংয়ের সুযোগ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ২১২ রানে গুটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার পেস ইউনিট। কাগিসো রাবাডা নেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নেন মার্কো জানসেন।
তবে ব্যাট করতে নেমে বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল প্রোটিয়া বাহিনী। বাভুমা ৩৬ ও বেডিংহাম ৪৫ রান করেন। ১৩৮ রানে সব উইকেট হারায় তারা। একাই ৬ উইকেট নেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার হাতে তখন ৭৪ রানের লিড। স্বাভাবিকভাবেই অজিদেরকেই জয়ী ভাবতে শুরু করেছিলেন অনেকে। তবে হাল ছাড়েনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রানে ৭ উইকেট ফেলে দেয় তারা। সেখান থেকে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ক্যারি ও স্টার্ক। শেষ অবধি ২০৭ রানে শেষ হয় অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস। স্টার্ক ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।

চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রানের লক্ষ্য যে ইংল্যান্ডের মাটিতে মোটেই সহজসাধ্য হয়, তা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ভাল করেই জানেন। তবে রান তাড়া করতে নেমে বিন্দুমাত্র ঘাবড়ে যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। রিকেলটন আউট হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাট করছিলেন মার্করাম। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ক্যাপ্টেন বাভুমা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েও করলেন লড়াকু অর্ধশতরান। তৃতীয় দিনের শেষ অবধি অপরাজিত ছিলেন দুজনে। জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬৯ রান। হাতে ছিল আট উইকেট।(Icc World Test Championship)
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933883717849935995
চতুর্থ দিনের শুরুতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাভুমা। কামিন্সের বলে তিনি আউট হন ৬৬ রানে। তখন জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ৪১ রান। এরপর ট্রিস্টান স্টাবস মাত্র ৮ রান করে আউট হন। অন্যদিকে কুম্ভ হয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন মার্করাম। অজিদের মাথায় চড়তে দেননি তিনি। ১৩৬ রানে আউট হয়ে যখন ফিরলেন, তখন জয় কার্যত দক্ষিণ আফ্রিকার মুঠোয়। দরকার ছিল মাত্র ৬ রান। সহজেই তা তুলে নেন ভেরেনি-বেডিংহাম। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ফের এল আইসিসি খেতাব। ফাইনালের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মার্করামকে।