আহমেদাবাদ: বৃহস্পতিবারের অভিশপ্ত দুপুরের পর কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষ হারিয়েছেন প্রিয়জনদের। স্বজনহারানোর অপার বেদনা নিয়ে আহমেদাবাদের বি জে হাসপাতালের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে তাঁরা। তবে এখনও মেলেনি দেহ। ডিএনএ পরীক্ষা(DNA Test) সাহায্যে দেহ শনাক্তের জন্য দিচ্ছেন নমুনা। কিন্ত রিপোর্ট আসতে ৭২ ঘণ্টা! কেন এত দেরি? গুজরাটের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন মৃতদের আত্মীয়-পরিজনরা।
Read More: রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই কি বিপর্যয়! আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র
দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারিয়েছেন মুম্বইয়ের এক জাভেদ। তাঁর স্ত্রীর দেহ শনাক্তের জন্য নমুনা দিয়েছেন স্ত্রীর কাকা। নেওয়া হয়েছে রক্ত ও অন্যান্য নমুনা। জানতে পেরেছেন, ৭২ ঘণ্টা পর সেই রিপোর্ট আসবে। তারপর মৃতের আত্মীয়দের একে একে ফোন করে জানানো হবে। প্রবল ক্ষুব্ধ জাভেদের কাকাশ্বশুর। সঙ্গে বিভিন্ন কাজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও সহযোগিতা করছেন না বলেও অভিযোগ তুলেছেন মৃতের আত্মীয়রা।

পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, মৃতদের আত্মীয়র থেকে নমুনা সংগ্রহের পর তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে গান্ধীনগরের গবেষণাগারে। সেখান থেকে ৭২ ঘণ্টা পরে রিপোর্ট(DNA Test) এসে পৌঁছবে বিজে হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। সেখান থেকে তা পৌঁছবে সিভিল হাসপাতালের কাসৌটি ভবনে। সেখান থেকে একে একে ফোন করে জানানো হবে মৃতের আত্মীয়দের। এছাড়াও কী করে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের মতো নিরাপদ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, যান্ত্রিক সমস্যা থাকলে আগে কেন ধরা পড়ল না, দ্রুত দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিজনরা।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933878365028855876