লস অ্যাঞ্জেলেস: গত কয়েক দিনে লস অ্যাঞ্জেলেস সহ ক্যালিফর্নিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দফতরের আধিকারিকেরা হানা(Immigration Raids) দিয়ে বেশকিছু জনকে গ্রেফতার করে। এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ শুরু হয় লস অ্যাঞ্জেলেসে।ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই বিক্ষোভের তেজ। লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড নামায় হোয়াইট হাউস। ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। এর মধ্যেই ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নরকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের।
Read More: কলেজে ভর্তি চালু কবে! বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের প্রশ্নে স্পষ্ট জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার জ়ার টম হুমান শনিবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর নিউসাম হোন বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস, বা অন্য কেউ— যিনিই অভিবাসন সংস্থার কাজে(Immigration Raids) বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সোমবার ট্রাম্পের মুখেও সেই হুঁশিয়ারিই শোনা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি টমের জায়গায় থাকতাম, আমিও তা-ই করতাম। আমার মনে হয়, এটাই ভাল। গাভিন প্রচারে থাকতে চান। আমার মনে হয় এটা ভালই হবে।”
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা জানিয়েছেন, নিউসামের সঙ্গে আলোচনা না করেই বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প নিজের সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1932353377033187401
এদিকে, আমেরিকার অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ লস অ্যাঞ্জেলেসের বাইরে অন্য শহরগুলিতেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশেরই দুই শহর সান ফ্রান্সিসকো এবং স্যান্টা আনাতেও বিক্ষিপ্ত কিছু বিক্ষোভ দেখা দিতে শুরু করেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়েছে নিউ ইয়র্কেও। সোমবার নিউ ইয়র্কে অভিবাসন নীতি বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাঁরা সরকারি অফিসের সামনে গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, জর্জিয়া প্রদেশের অ্যাটলান্টা, টেক্সাসের ডালাস এবং কেন্টাকি প্রদেশেও একই ধরনের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে।