কলকাতা : জনসাধারণের স্বার্থে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রে গৃহস্থের বাড়িতে আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট মিটার(Smart Meter) বসানো নিয়ে একাধিক জেলা থেকে বিক্ষোভের খবর আসছিল। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রীকে এ নিয়ে বিস্তারিত জানান স্বয়ং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপরই সোমবার গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ রাখা হল। নয়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানিয়ে দিল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর।
Read More: প্রাক রথযাত্রার আবহে একগুচ্ছ অনুষ্ঠান দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে, প্রকাশিত সময়সূচি
ভারতের দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো একাধিক মহানগর-শহরের মতো আধুনিক প্রযুক্তির এই মিটার সর্বত্র চালু হলে বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই কম এবং নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বস্তুত এই কারণে রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতরের তরফে পরীক্ষামূলকভাবে রাজ্যের তিন-চারটি জেলায় গৃহস্থের বাড়িতেও স্মার্ট মিটার বসানো হয়। কিন্তু একাধিক এলাকায় এই মিটার নিয়ে নানা অভিযোগ আসায় প্রয়োজন মোতাবেক পদক্ষেপ করার জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম এলাকায় গৃহস্থের বাড়িতে আপাতত স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ রাখা হল।
রাজ্যে স্মার্ট মিটার(Smart Meter) চালু হলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কী কী বাড়তি সুবিধা পাবেন, তা নিয়ে বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা নানা তথ্য জানিয়েছেন। প্রিপেড মোবাইল রিচার্জ করার মতোই স্মার্ট মিটারের ব্যবহার বলে গ্রাহকদের নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সাধারণ মিটারে এতদিন যে টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট ছিল, সেটাও স্মার্ট মিটারে শুরুতেই ব্যবহার করতে পারবেন। একই সঙ্গে যদি প্রিপেড টাকা শেষ হয়ে যায় তা হলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে না বলে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের শীর্ষপদাধিকারী ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁদের আরও বক্তব্য, আরও ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন স্মার্ট মিটারের গ্রাহকরা। তাই স্মার্ট মিটারে বেশি বিল আসবে বলে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা ভ্রান্ত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক নয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1932341412827402245
প্রসঙ্গত, দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, বাঁকুড়ার মতো দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার নির্দিষ্ট কিছু জোনে গৃহস্থদের বাড়িতে এই স্মার্ট মিটার বসেছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিক ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার দফতরে বিক্ষোভও হয়। পরিস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি রাজ্য সরকার আপাতত স্মার্ট মিটার নিষেধাজ্ঞা জারি করল। এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, এই স্মার্ট মিটার ব্যবহারের সব চেয়ে বড় সুবিধা হল, বিলগুলিকে আরও নির্ভুল ও স্বচ্ছ হিসাবে দিতে পারবেন গৃহস্থরা। গত কয়েকমাসে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস এবং টেলি কমিউনিকেশন টাওয়ারের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলভাবে স্মার্ট মিটার বসিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম।