কলকাতা : দিনেদুপুরে পুলিশ ও সিবিআই সেজে সোনা লুট করছে দুষ্কৃতীরা! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। পোস্তা বাজার এলাকায় একাধিকবার ঘটেছে এমন ঘটনা। বাড়ছে অপরাধীদের উপদ্রব। এবার সে অঞ্চলে ব্যবসায়ী ও এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবার ৫৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার।(Kolkata Police)
Read More: ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নরকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের! লস অ্যাঞ্জেলেসের বাইরেও ছড়াচ্ছে বিক্ষোভ
পোস্তা অঞ্চলেই রয়েছে সোনাপট্টি। তার জন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। পুলিশ(Kolkata Police) জানিয়েছে, মধ্য কলকাতার পোস্তা ও বড়বাজারের অংশ বাণিজ্যিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। সম্প্রতি লালবাজারের পক্ষ থেকে কলকাতা পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডটিকে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়।
উক্ত ওয়ার্ডে দুটি হাসপাতাল, হাঁসপুকুরিয়া ও আদিবাঁশতলায় সোনাপট্টি, হরিরাম গোয়েঙ্কা স্ট্রিট, কলাকার স্ট্রিট-সহ বেশ কয়েকটি অংশে প্রত্যেক দিনই কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়। কেনাকাটা এবং ব্যবসা করার জন্য দিনে কয়েক লক্ষ মানুষ ওই এলাকায় যান। ওই এলাকা থেকে প্রায়ই চুরি, পকেটমারির মতো অভিযোগ পুলিশের কাছে আসতে থাকে। তার উপর রয়েছে পুলিশ ও সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনাও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1932354855236169882
লালবাজার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই সমস্ত ক্যামেরার ফিড পোস্তা থানায় থাকবে। লালবাজার ও পোস্তা থানায় বসে আধিকারিকরা ওই এলাকার প্রত্যেকটি রাস্তার উপর সরাসরি নজর রাখতে পারবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে পোস্তা থানা এলাকার কলাকার স্ট্রিট ও দেবেন্দ্র দত্ত লেন ক্রসিং, কলাকার স্ট্রিট ও শিবতলা স্ট্রিট, কলাকার স্ট্রিট ও রতন সরকার গার্ডেন স্ট্রিট ক্রসিং, শিবতলা স্ট্রিট ও বৈকুণ্ঠ শেঠ লেন ক্রসিং, রতন সরকার গার্ডেন স্ট্রিট এবং রাজা ব্রজেন্দ্র নারায়ণ স্ট্রিট ক্রসিংয়ে বসবে ক্যামেরা।
পাশাপাশি, কে কে টেগোর স্ট্রিট এবং রাই লেন ক্রসিং, কে কে টেগোর এবং রবীন্দ্র সরণি ক্রসিংয়ের মতো রাস্তাও রয়েছে এই তালিকায়। আবার তালিকায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং ক্রসিংগুলির মধ্যে রয়েছে ব্রজেন্দ্র নারায়ণ স্ট্রিট, হাঁসপুকুর প্রথম লেন, হাঁসপুকুর প্রথম লেন এবং কানু লাল লেন ক্রসিং, সুখলাল জহুরি লেন, স্যর হরিরাম গোয়েঙ্কা স্ট্রিট রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।