বসিরহাট: ভারত-পাক সংঘাতের(Indo Pak Conflict) আবহে ইতিমধ্যেই বাংলার সীমান্ত এলাকাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এবার ভারত-বাংলাদেশ উপকূল অঞ্চলের জল ও স্থল সীমান্তেও নিরাপত্তা বাড়ানো হল। বসিরহাট সীমান্তের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে সুন্দরবন। ওই এলাকায় কাটাতারের বেঁড়া নেই। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, জঙ্গিদের রাজ্যে ঢুকে পড়বার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য নজরদারি আরও পোক্ত করা হল।
Read More: দিল্লির সিদ্ধান্তের ‘প্রতিশোধ’! ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ ইসলামাবাদের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গোয়েন্দা দফতরের আশঙ্কা, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে হামলা হতে পারে। ওই এলাকা দিয়ে ঢোকার চেষ্টাও করতে পারে জঙ্গি সংগঠনগুলি। সেজন্যই ওইসব এলাকায় বিএসএফ তৎপরতা শুরু হয়েছে। দিন ও রাতে জল ও স্থলভাগে কড়া নজরদারি চলছে। বসিরহাটের স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত মোট ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে জল সীমান্ত এলাকা ৫৫ কিমি। বাকি অংশ রয়েছে স্থলভাগে। এই এলাকা দিয়ে যাতে কোনওভাবে সন্ত্রাসবাদি কাজকর্ম না হতে পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন হয়েছে।
এছাড়া অত্যাধুনিক র্যাডার, ড্রোনে চোখ রাখছে বাহিনী। নাইটভিশন ক্যামেরার মাধ্যমেও বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে নজরদারি। ভারতীয় সীমানায় আরও বেশি করে স্পিডবোটের মাধ্যমে চলছে নজরদারি।(Indo Pak Conflict) প্রতি বছর এই সময় সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। ভারতের কোনও মঠস্যজীবীকে জলভাগে দেখা গেলে পরিচয়পত্র দেখে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এছাড়াও সুন্দরবনের নদী, খাঁড়ি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকা দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছিল। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি রাখা হবে না বলে জানানো হয়েছে আধিকারিকদের তরফে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1922569286960210375
পাশাপাশি, বসিরহাটে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে বসিরহাট পুলিশ জেলা। মূল লক্ষ্য, সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও নিরাপত্তা বোধ জোরালো করে তোলা। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেইন মেহেদি রহমান জানান, “প্রতিনিয়ত বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি একইভাবে সীমান্ত এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি পেট্রোলিং করা হচ্ছে। এলাকার কোথাও গতিবিধির সমস্যা দেখা গেলে ২৪ ঘন্টা অভিযোগ জানানোর জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।” সীমান্ত অঞ্চলে যে কোনওরকম গুজব যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র।