প্রতিবেদন : ক্রিকেটমহলে বারবার আলোচ্য হয়ে উঠেছে তাঁদের দু’জনের পারস্পরিক সমীকরণের বিষয়। একদা সতীর্থ ছিলেন। ব্যাট হাতে একসঙ্গে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন ভারতকে। আবার আইপিএলে যখন দু’জন দু’জনের যুযুধান প্রতিপক্ষ, তখন মাঠের মধ্যেই বাদানুবাদে জড়াতে গিয়েছে দু’জনকে। দুই ‘দিল্লিওয়ালা’র দ্বৈরথ আকছার মুখরোচক বিষয় হয়ে উঠেছে সংবাদমাধ্যমের কাছে। কিন্তু দু’জনই যে পরস্পরের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নিজেরা। কখনও তাঁর ‘গোতি’ ভাইকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়েছেন বিরাট। আবার কখনও ‘চিকু’র অকুণ্ঠ তারিফ শোনা গিয়েছে গৌতম গম্ভীরের গলায়।(Gautam Gambhir) সোমবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাটের অবসর ঘোষণার পরও তার ব্যতিক্রম হল না। আবেগঘন বার্তা দিলেন গম্ভীর। জানালেন, লাল বলের ক্রিকেটে বিরাটকে ‘মিস’ করবেন তিনি।
Read More: ভারত-পাক যুদ্ধবিরতির পরে পিছিয়ে গেল আলোচনা, সোমবার সন্ধ্যায় যোগাযোগের সম্ভাবনা!
এদিন এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন বিরাটের প্রাক্তন সতীর্থ এবং অধুনা ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর।(Gautam Gambhir) লিখেছেন, “সিংহের মতো আবেগের অধিকারী একজন মানুষ! তোমাকে মিস করব, চিকস্।” এই মাসের শুরুতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এবার সেই পথ অনুসরণ করলেন বিরাটও। ভারত এখন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছাড়াই পাঁচ টেস্টের সিরিজের জন্য ইংল্যান্ড সফর করবে।

পাশাপাশি, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহও টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট কোহলির অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্থানের যুগে তিনি ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটের চ্যাম্পিয়ন ছিলেন বলেই মনে করেন জয়। “অসাধারণ টেস্ট ক্যারিয়ারের জন্য বিরাট কোহলিকে অভিনন্দন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্থানের সময় বিশুদ্ধতম ফর্ম্যাটকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য এবং শৃঙ্খলা, ফিটনেস এবং প্রতিশ্রুতিতে অসাধারণ উদাহরণ স্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। লর্ডসে আপনার বক্তৃতা সবকিছু বলে দিয়েছে – আপনি হৃদয়, দৃঢ়তা এবং গর্বের সাথে টেস্ট খেলেছেন”, জানিয়েছেন জয়।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1921903152653119691
মোট ১২৩টি টেস্ট খেলে ৯২৩০ রান করেছেন বিরাট। যার মধ্যে রয়েছে ৩০টি শতরান ও ৩১টি অর্ধশতরান। এই ফরম্যাটে তাঁর গড় ৪৬.৮৫। ৬৮টি টেস্ট ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন ৪০টিতে, যা একজন ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে সর্বকালের নজির। লাল বলের ফরম্যাটে বিরাটই দেশের সেরা অধিনায়ক, এমনটাই মনে করেন সিংহভাগ ক্রিকেট-বিশেষজ্ঞরা। ‘কিং’ কোহলির এহেন সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই মনমরা তাঁর ভক্তকুল।