কলকাতা : ফের শীর্ষ আদালতে(Supreme Court) ধাক্কা খেলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেও কেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ হয়নি? বোসের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্তর বেঞ্চ। সিল বন্ধ খামে সেটি জানানো নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
Read More: একাধিক শহরে ড্রোন হামলা! ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
বৃহস্পতিবার রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে(Supreme Court) জানানো হয় ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি৷ এর মধ্যে আছে কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্র ভারতী, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়৷ দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বিচারপতি সূর্যকান্তর বেঞ্চে আর্জি জানান রাজ্য সরকারের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত। পাল্টা আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি বলেন, কয়েকটি বিষয়ে জটিলতা আছে, যেটা সিল বন্ধ খামে তাঁরা আদালতে জানাতে চান৷
গত মাসের শেষে শুনানিতে শুনানি চলাকালীন রাজ্যপাল তথা আচার্যের আইনজীবী জয়দীপ মজুমদারের কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত জানতে চান, রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের খালি থাকা পদের মধ্যে কতগুলিতে উপাচার্য নিয়োগের কাজ শেষ করা হয়েছে? জয়দীপ মজুমদার আদালতকে জানান, ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের কাজ হয়ে গেছে, বাকি আছে ১৭টি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1920551742800040155
এই সময়েই রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করার জন্য উপস্থিত বর্ষীয়ান আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত জানান, জানুয়ারি মাসেই উপাচার্য নিয়োগের কাজ শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি৷ বর্ষীয়ান আইনজীবীর কথা শুনেই উপাচার্য নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি৷ কোনওভাবেই এই নির্দেশের অন্যথা চাননা তাঁরা, রাজ্যপাল তথা আচার্যের আইনজীবীকে বোঝানো হয়েছে সেকথাও৷ দু সপ্তাহ পরে নির্ধারিত শুনানিতে তাঁরা সর্বশেষ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন, এদিন জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি সূর্যকান্তর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ৷
পাশাপাশি দুপক্ষের সওয়ালেন পরে বিচারপতি সূর্যকান্ত নির্দেশ দেন, এই কারণ সিল বন্ধ খামে উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় ললিতের নেতৃত্বাধীন কমিটির কাছে পেশ করতে হবে৷ আজই সিল বন্ধ খামে অ্যাটর্নি জেনারেল এই বিবরণ আদালতে পেশ করবেন৷ সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিতের কাছে। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।