প্রতিবেদন : বয়স মাত্র ১৪ বছর ৩৩ দিন। নিতান্তই ‘বাচ্চা ছেলে’। তথচ ব্যাট হাতে তাঁর বীরবিক্রমে নাজেহাল তাবড় তাবড় বোলাররা। সোমবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডের ফুলঝুরি ছড়িয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী।(Vaibhav Suryawanshi )গড়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম সেঞ্চুরির নজির। আইপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম শতরানের রেকর্ডও তৈরি করেছে তাঁর ব্যাট। সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শতরানের নজিরও গিয়েছে তাঁরই ঝুলিতে। এদিন ম্যাচ শেষে স্বভাবসিদ্ধ আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল বিস্ময়বালকের গলায়। ঝরে পড়ল বাবা-মা’র প্রতি তাঁর অপার কৃতজ্ঞতাও।
Read More: পহেলগাঁও হামলার ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে মেরুকরণের বিষ ছড়াচ্ছে বিজেপি! গর্জে উঠল তৃণমূল
বৈভবের এহেন ব্যাটিং-বৈভবে মোহিত আসমুদ্রহিমাচল।(Vaibhav Suryawanshi)এদিন তিনি রশিদ খানকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতেই হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান রাজস্থান রয়্যালসের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। চোখেমুখে ধরা পড়ল তৃপ্তির হাসি।অভিনন্দন জানিয়েছেন শচীন তেণ্ডুলকরও। প্রথম বলে ছক্কা মেরে আইপিএল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বৈভব। আর সোমবারের ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির পর তাঁর বক্তব্য, “এসব আমি প্রায়ই করি। অনূর্ধ্ব-১৯ দল বা ঘরোয়া ক্রিকেটে, আমি প্রথম বলে ছয় মেরেছি। প্রথম দশ বল খেলার সময় একেবারেই চাপ নিই না। যদি আমার সীমার মধ্যে বল আসে, তাহলে ছক্কা মারব।”

সাফল্যের সমস্ত কৃতিত্ব নিজের মা-বাবাকেই দিয়েছেন বৈভব। “আমি আজ যেখানে, সেটা বাবা-মায়ের আশীর্বাদে। আমার মা রাত এগারোটার সময় ঘুমিয়ে তিনটের সময় উঠত, কারণ আমার প্র্যাকটিসের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। আমার বাবা কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। বড়দাদাই এখন সেসব সামলায়। কিন্তু একটা কথা আমি বিশ্বাস করি, পরিশ্রম করলে ঈশ্বর কখনও মুখ ফেরান না। আজ আমি যেটুকু আজ অর্জন করেছি, সেটুকু আমার বাবা-মায়ের আশীর্বাদে”, জানিয়েছেন তিনি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1917173387136536820?s=19