পানিপথ : ঢাকঢোল পিটিয়ে এখানেই ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই বিজেপিশাসিত হরিয়ানাতেই অবাধে চলল কন্যাভ্রূণ হত্যা! খাতায়-কলমে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইনকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে হরিয়ানার নামী-বেনামী স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে(Health Centre)রমরমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা। লাগামছাড়া লিঙ্গ নির্ধারণ ও কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গোটা ঘটনার তদন্তে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাতিল করা হয়েছে ৩০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের লাইসেন্স।
Read More: ষাট পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক! অনন্য নজির গড়লেন পর্তুগালের ‘চাইল্ড’
হরিয়ানায় প্রতিবছরই দেখা যাচ্ছিল, ছেলের তুলনায় মেয়েদের জন্মহার ব্যাপকভাবে কমছে। ২০১৯ সালে ১০০০ জন ছেলের তুলনায় মেয়ের জন্ম হার ছিল ৯২৩ জন। ২০২৪ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৯১০। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তদন্তে উঠে আসে,।কীভাবে এই রাজ্যে পুত্র সন্তানের আকাঙ্ক্ষায় কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা ঘটছে অবাধে।

পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের তদন্তে জানা গিয়েছে, দুই কন্যার মা পূজা তৃতীয়বার গর্ভবতী হওয়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গর্ভস্থসন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করেন এবং গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। এই অবস্থায় পূজা শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাপের বাড়ি চলে এসে ওই সন্তানের জন্ম দেয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর লিঙ্গ নির্ধারনকারী অভিযুক্ত চিকিৎসক-সহ গোটা চক্রের (Health Centre)বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্তে নেমেছে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1910694242906710387?s=19