নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়(Kendriyo Vidyalaya)নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এনেছে খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ৪১০টি অধ্যাপকের পদ। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে এই তথ্য সামনে আনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ বেড়েছে। বিরোধীরাও একাধিক প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষার এই বেহাল অবস্থা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তৃণমূল।
Read More: পরপর দু’দিন হামলা, নিরাপদ নয় পুলিশ! এএসআইকে খুনের অভিযোগ বিহারে
রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস এ নিয়ে সরব হয়েছে, ৫০০০-এর বেশি পদ খালি মানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কী হাল তা বোঝা যাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভায় বলেন, “এই সরকার শিক্ষাখাতে জিডিপির মাত্র ০.৩৭ শতাংশ বরাদ্দ করেছে। অন্তত ৬% বরাদ্দ করা না হলে ভালো কিছু করাই সম্ভব নয়।” এর পাশাপাশি তিনি তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির খালি পদের উল্লেখ করে আরও বলেন, “এর ফলে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের প্রতিও বঞ্চনা করছে কেন্দ্র সরকার।”
জানা যাচ্ছে, শুধু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়। শিক্ষকদের খালি পদের বিচারে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়েও দেশজুড়ে খালি আছে ৭ হাজার ৪১৪টি পদ। শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৩।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1900851691743789291?s=19
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যসভায় কেরল থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ জে বি এম হিশাম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (Kendriyo Vidyalaya)কোনটিতে কত সংখ্যক অধ্যাপকের পদ খালি রয়েছে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন কেন্দ্রের কাছে। এর উত্তরেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনুমোদিত মোট ১৩ হাজার ২৩৫টি অধ্যাপকের মধ্যে ফাঁকা পদের সংখ্যা ৫ হাজার ৪১০। শতাংশের বিচারে যা প্রায় ৪১%। এর মধ্যে আবার তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ পদে যথাক্রমে ৭৮৮, ৪৭২ ও ১৫২১টিতে নেই কোনও শিক্ষক।