প্রতিবেদন : বছরের পর বছর কেটে গেলেও পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে সেই একইরকম। স্রেফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখে দিয়েছে মোদী সরকার। বারবার আবেদন করেও মেলেনি বরাদ্দ। মনরেগা-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের খাতে বাংলার ন্যায্য পাওনা টাকা অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া হোক, এই মর্মে এবার কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের(Rural Development)সংসদীয় স্থায়ী কমিটি৷
Read More: ১০ বছর পর ফের চালু হতে চলেছে মোহরকুঞ্জের ‘ফাউন্টেন শো’
বাংলার ন্যায্য প্রাপ্য বিপুল অঙ্কের টাকা আটকে রাখার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে গ্রাম-বাংলার সাধারণ মানুষকে৷ এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে গ্রাম বাংলার উন্নয়ন, মোদী সরকারের কাছে পেশ করা সুপারিশে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ সপ্তগিরি উলকার নেতৃত্বাধীন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের(Rural Development)সংসদীয় স্থায়ী কমিটি৷ এই কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ, লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভা সাংসদ সামিরুল ইসলাম৷
এপ্রসঙ্গে বুধবার তৃণমূলের সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, “বাংলার ন্যায্য বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্য আমি কমিটির প্রতিটি সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলাম৷ এই বিষয়টি নিয়ে কমিটিতে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছিল৷” দীর্ঘদিন ধরেই মনরেগা-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার ন্যায্য বকেয়া টাকার দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তারপরেও তাদের দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি৷ কেন রাজ্যের ন্যায্য পাওনা টাকা বকেয়া রাখা হয়েছে, সেই বিষয়ে যখনই কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তখনই কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে মনরেগা-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে নাকি ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে৷
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1900105050233725345?s=19
মঙ্গলবার লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি দেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বারবারই বলছে রাজ্যে মনরেগা প্রকল্পে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড আছে৷ আমাদের দাবি হল, ২৫ লক্ষ লোক যদি দুর্নীতি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবে ২৫ লক্ষ লোকের জন্য বাংলার ১০ কোটি মানুষের সঙ্গে শত্রুতা করা যায় না, তাঁদের বঞ্চিত করা যায় না৷” বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অভিমত, যেখানে অবিলম্বে মনরেগা-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের খাতে বাংলার বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপারিশ করা হয়েছে৷ এই সুপারিশে বাংলার বকেয়া টাকা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের উপরে চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।