নয়াদিল্লি: বন্ধু মোদীর কথা মাথায় রেখেও ভারতের ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে পিছপা হলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিনভূমিতে ট্রাম্প-মোদীর সুসম্পর্কের ছবি প্রকাশ পেলেও, ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোতে তার প্রভাব পড়ল না। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানালেন, ২ এপ্রিল থেকে ভারতের উপরও চাপানো হল পাল্টা আমদানি শুল্ক।
Read More: রক্ত খেয়ে নিচ্ছেন স্ত্রী! – যোগীরাজ্যে কর্তব্যে গাফিলতির আজব সাফাই কনস্টেবলের
আর্থিক ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির হিসেব অনুযায়ী, আমেরিকার পাল্টা শুল্ক চাপানোর ফলে ৭০০ থেকে ৯০০ কোটি ডলার লোকসান হতে চলেছে ভারতীয় রফতানি বাণিজ্যের। ভারত থেকে আমেরিকায় সবথেকে বেশি রফতানি হয়, ধাতু, গয়না, রাসায়নিক, ওষুধ, গাড়ির যন্ত্রাংশ, উপকরণ, সরঞ্জাম, ইস্পাত এবং পেট্রোকেমিক্যালস। ভারত থেকে বছরে আমেরিকায় পণ্য রফতানির পরিমাণ গড়ে ৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। পক্ষান্তরে আমেরিকা ভারতে যে পণ্য রফতানি করে, তার বার্ষিক অঙ্ক ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আমেরিকার তুলনায় কমবেশি ভারতের আমদানি শুল্ক ৮ থেকে ১১ শতাংশ বেশি।
ভারতের উদ্দেশে ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘ভারত তো অটোমোবাইলে আমাদের তুলনায় ১০০ শতাংশ বেশি শুল্ক আরোপ করেছে। এ একেবারেই অনুচিত। সুতরাং আমি চাইছিলাম ১ এপ্রিল থেকেই এই পাল্টা শুল্ক চাপাতে। কিন্তু সেটা যাতে এপ্রিল ফুল না হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হচ্ছে।’
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1897607894130143281
ভারত আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে মীমাংসা করতে চাইছে তা-র ইঙ্গিত মিলেছে। ইতিমধ্যেই বুরবঁ হুইস্কি এবং হাই প্রোফাইল মার্কিন মোটর সাইকেলের উপর আমদানি শুল্ক ইতিমধ্যে কমিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও স্বস্তি দিচ্ছে না ট্রাম্পের সরকার। ট্রাম্প চায় সম্পূর্ণ নতুন বাণিজ্য-বিশ্ব চায়। আর তাদের নীতিরই সমর্থক হতে হবে অন্যদের। কানাডা, মেক্সিকো, চীন, ইউরোপ জানিয়েছে, তারা এই শর্তে নারাজ। পাল্টা শুল্ক চাপিয়ে প্রত্যাঘাত করেছে তারা। কিন্তু ভারত এই নীতি নিয়ে সমঝোতার পথেই হাঁটছে। মীমাংসার জন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারত কিন্তু মার্কিন মুলুক এরপরেও শুল্ক চাপানোয় চাপ বেড়েছে মোদী সরকারের।