এবার রাজ্যপালের ভাষণেই উঠে এল বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ক্রমাগত বঞ্চনার কথা। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। এদিন অধিবেষণের সূচনার ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, আর্থিক অপ্রতুলতা এবং কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না-পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার গ্রামীণ মানুষের জন্য কর্মসংস্থান ও আবাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থেকে পিছু হটেনি। ভাষণ শুরুর দিকে সদ্যসমাপ্ত অষ্টম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। মোট ২১২টি সমঝোতাপত্র ও অভিপ্রায়পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে মোট ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার। রাজ্যপাল জানান, রাজ্যে শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে। রাজ্যে সব উৎসবই পালিত হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে এবং যথাযথ মর্যাদার সঙ্গেই। রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিলের অর্থে ‘কর্মশ্রী’ ও ‘বাংলার বাড়ি’ (গ্রামীণ) প্রকল্প চালু করা হয়েছে, বাজেট বক্তৃতায় তাও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল।
পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালের ভাষণে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা হয়। ভাষণের প্রথম দিকের কিছুটা বাংলায় পাঠ করেন আনন্দ বোস। রাজ্যপালের ভাষণ পর্ব নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়। ভাষণের কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্য আর এক বিজেপি বিধায়ক। ওই বিজেপি বিধায়ক উঠে দাঁড়িয়ে বেশি সময় ধরে আপত্তি জানানোয় একসময় তাঁকে থেমে যাওয়ার জন্যই ইঙ্গিত করেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যপালের ভাষণের পর জাতীয় সঙ্গীত শেষ হতেই অবশ্য বিরোধী এবং শাসক দলের বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তখন পাল্টা স্লোগান দেন তৃণমূল বিধায়করা। এর মধ্যেই অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে যান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের ভাষণের উপর এই বিষয়ে আগামী ১৩ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি আলোচনা হবে বিধানসভায়।