কোচবিহার: দুর্ঘটনার কবলে বামনহাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। ট্রেনের পিছনের কামরায় সোজা ধাক্কা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই কামরা। কোচবিহারের বামনহাট রেল স্টেশনের এই ঘটনায় শিশু-সহ বেশ কয়েকজন যাত্রী জখম হয়েছেন। রেল দুর্ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার জেরে স্টেশনেই বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে বামনহাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বামনহাট স্টেশনে এসে থামে। এরপর শিলিগুড়ি যাওয়ার আগে রেলের ইঞ্জিন বদল করা হয়। এই ইঞ্জিন বদলের সময়েই বিপত্তির সৃষ্টি হয়। ট্রেনের পিছনের কামরায় সজোরে এসে ধাক্কা মারে ওই ইঞ্জিনটি।
এই ধাক্কাতেই প্রবল ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়, সিট থেকে পড়ে যান বহু যাত্রী। এমনকী অনেকে ট্রেন থেকে ঝাঁপও দেন। সংঘর্ষের কারণে ওই কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন জায়গা দুমড়ে যায়। ভিতরেও অনেক কিছু ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই ইঞ্জিনের গতিবেগ বেশি ছিল। চালক শেষমুহূর্তে গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।
আরও জানা যাচ্ছে, ঘটনায় দুই শিশু-সহ মোট ছয়জন যাত্রী গুরুতর জখম হন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলে। তবে কিছুজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাজেটে রেলের বরাদ্দের টাকা বাড়ছে কিন্তু তাতেও সঠিক পরিষেবা দিতে অক্ষম রেল। এহেন দুর্ঘটনা এখন প্রায়শই শিরোনামে উঠে আসছে। বাংলার বিভিন্ন জেলা তথা অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও এই একই চিত্র। ট্রেনের দুর্ঘটনার সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে, বাজেটেও রেলকে যথাযথ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তবু পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে না। তা নিয়েই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।