কলকাতা: ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নামছে বিজেপি। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির অন্দর গোছাতে গিয়েই হিমসিম খেতে হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি তো দূরের কথা বাংলায় নেতৃত্ব সংকট দেখা দিয়েছে পদ্ম শিবিরের অন্দরমহলে। সভাপতি পদ নিয়ে ফের দিলীপ ঘোষকে ফেরানোর দাবি তুলেছেন আদি নেতারা। তা নিয়েও জট কিছুতেই কাটছে না। দলের মাথা বলতে আদতে কিছুই নেই বঙ্গ বিজেপিতে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির এহেন পরিস্থিতি কি ফল দেবে তা নিয়েই জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
আদি বিজেপি কর্মীরা চাইছেন, যে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বঙ্গে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছিল, তাঁকেই ফেরানো হোক সভাপতি পদে। আবার অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চলছেন নিজের ইচ্ছামতো। এমনকি তাঁর সভা মিছিলে বিজেপির পতাকাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানের রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরে বাগ্লায় সময় দিতে পারছেন না। এর ফলে দল রীতিমতো সংকটের সম্মুখীন। নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনা তো দূরের কথা, নেতৃত্ব নিয়েই দ্বন্দ্ব তুঙ্গে।
এর মধ্যে আবার সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত। মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা স্থগিত। সাংগঠনিক নির্বাচনে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বঙ্গ বিজেপির আদি নেতারা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে মেল করছেন। এহেন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সায়ন্তন বসুর অনুগামীরা দিলীপ ঘোষকে সভাপতি পদে ফেরানোর দাবি করছেন। অন্যদিকে, দলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি রামকমল পাঠক বলেন, “বঙ্গ বিজেপিতে এখন যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটা বন্ধ হওয়া দরকার। সেজন্য দ্রুত শক্তিশালী কাউকে রাজ্য সভাপতি পদে বসাতে হবে।”
অতএব, এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট যে, দলের অন্দরে নতুন ও পুরনোর দ্বন্দ্ব ফের মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দলের নেতারাও মেনে নিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির অন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠিক কি রণনীতি সাজাবে বঙ্গ বিজেপি তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।