নয়াদিল্লি: রেলের টিকিট নিয়ে এবার বড় তথ্য সামনে আসছে। কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটলে যা ভাড়া দিতে হয় অনলাইনে কাটলে খরচ হয় আরও বেশি। এবার এই বৈষম্য নিয়ে সংসদে সরব হলেন বিরোধীরা। মোদী সরকারের পক্ষ থেকেও এই বৈষম্য মেনে নেওয়া হয়েছে।
সংসদে রেলের ভাড়ার বৈষম্যের প্রসঙ্গটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই এই নিয়ে উত্তর দেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি উত্তরে জানিয়েছেন, “আইআরসিটিসি গ্রাহকদের নির্ঝঞ্ঝাট অনলাইনে টিকিটের সুবিধা দিতে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করে। ডিজিটাল টিকিট পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ, আপগ্রেডেশন এবং সম্প্রসারণে যে খরচ হয় তার জন্য গ্রাহকদের কাছে কনভেনিয়েন্স চার্জ বাবদ কিছু টাকা ধার্য করা হয়।”
এই প্রসঙ্গে অশ্বিনী আরও বলেন, অনলাইন টিকিট বুকিং সিস্টেম যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি পরিবহণেরও খরচ বাঁচায়। বর্তমানে ৮০ শতাংশের বেশি টিকিট অনলাইনের মাধ্যমেই কাটা হয়ে থাকে। এই মর্মে রেলের টিকিটের এই বৈষম্য স্বীকার করে তিনি জানান, “অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য ব্যাঙ্কে তাদের নিজস্ব নীতিতে লেনদেন বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে কিছু টাকা চার্জ করে। যার জেরে অনলাইনে টিকিট কাটতে কিছুটা বাড়তি খরচ পড়ে যায় গ্রাহকদের।”