দেশের ১৪০ কোটির বেশি মানুষ করের বোঝায় নুয়ে পড়েছেন। আয়করে ছাড় দিলেও প্রত্যেকটি পণ্যের ওপর জিএসটি চাপিয়ে রেখেছে কেন্দ্র। একদিকে আয়করে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে জিএসটির বোঝ! আদতে আমজনতার চোখে ধুলো দিতেই এই আয়করে ছাড়ের ঘোষণা। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জিএসটির কোপ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউ। উচ্চবিত্ত থেকে গরিব, শিল্পপতি থেকে কৃষক-শ্রমিক সকলকেই পণ্য কিনতে গেলে GST দিতে হচ্ছে। তাতে কিন্তু রেহাই দিচ্ছে না কেন্দ্র। সোনা থেকে শাড়ি, এমনকিখাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবক্ষেত্রেই জিএসটি অব্যাহত। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যা কিছু সবেতেই লাগু এই ট্যাক্স। তা নিয়ে আদতে কিছুই ভাবছে কেন্দ্র। শুধুমাত্র চোখে ধুলো দিতে আয়করে ছাড়ের ঘোষণা, জিএসটি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্র।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়কর দেন দেশের মোট ৮ কোটি মানুষ। কিন্তু জিএসটি দিতে হচ্ছে সকলকেই। যাদের ১২ লক্ষ ৭৫ হাজারের কম আয় তারা আয়করে ছাড় পাচ্ছেন। কিন্তু আয়ের পরিমাণ যাই হোক না কেন জিএসটি দিতে হচ্ছে গরিব থেকে মধ্যবিত্ত সকলকেই। তাই মনে করা হচ্ছে, আয়করে ছাড়ের নামে যে চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে তার পরিবর্তে কেন্দ্র জিএসটির নামে প্রচুর টাকা তুলে নিচ্ছে সাধারণের কাছ থেকে।
স্বাস্থ্যবিমা, জীবনবিমাতে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিচ্ছে আমজনতা। বারবার সরকারের কাছে জিএসটি কমানোর দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি। এরকম প্রত্যেক সেক্টরে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গেলেই জিএসটি দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাতেও আমজনতার কথা মাথায় রেখে এই জিএসটি নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই কেন্দ্রের।
