অনন্য নজির গড়ল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দল। টানা দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল তারা। রবিবার কুয়ালা লামপুরে প্রতিযোগিতার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারাল ভারত। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অপরাজিত ছিলেন নিকি প্রসাদরা। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল তাদের ইনিংস। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়া-বাহিনী। প্রথম আঘাত হানেন শবনম। তারপর ঘূর্ণি-ভেলকি দেখান পারুনিকা-আয়ুশীরা। দুজনেই তুলে নেন ২টি করে উইকেট। অন্যদিকে ৩টি উইকেট নেন অলরাউন্ডার তৃষা গোঙ্গাদি। দক্ষিণ আফ্রিকার চারজন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন। শেষ পর্যন্ত সব উইকেট হারিয়ে তাঁদের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ৮২ রানে। দলের সর্বোচ্চ রান (২৩) আসে মাইকে ভ্যান ভুর্স্টের ব্যাট থেকে।
রান তাড়া করতে নেমে সাবলীল ছন্দেই ইনিংস শুরু করে ভারত। কমলিনী (৮) রান না পেলেও তৃষার ব্যাটে ঝড় থামেনি। সারা টুর্নামেন্ট জুড়েই অসাধারণ ফর্ম বজায় রাখলেন তিনি। এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন। এদিনও ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। ৩৩ বলে করলেন অপরাজিত ৪৪ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন সানিকা চালকে (২৬)। একটি উইকেট হারিয়ে ৮.৪ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট সেরার শিরোপা উঠেছে তৃষার মাথায়। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান শিকারী তৃষা। পাশাপাশি, সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন ভারতের বৈষ্ণবী শর্মা।
প্রসঙ্গত, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতেছিলেন রোহিত শর্মারা। প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এদিন সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েই টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বজয় করল ভারতের জুনিয়র দলের মেয়েরা। ২০২৩ সালে প্রথমবার এই টুর্নামেন্ট প্রথম আয়োজিত হয়। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই দলে ছিলেন রিচা ঘোষ, তিতাস সাধুর মতো বঙ্গতনয়ারাও। বর্তমানে ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দলের নিয়মিত সদস্য তাঁরা।