এবার সারা দেশের বিদেশি বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব এবং শ্রম আইনের লঙ্ঘন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ডঃ মনসুখ মাণ্ডব্য ও তামিলনাড়ুর শ্রমমন্ত্রী সি ভি গণেশনকে চিঠি দিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিকমিউনিকেশন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মরত প্রচুর বিদেশি বহুজাতিক সংস্থা। বিপুল পরিমাণ লাভ করলেও শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় প্রায়শই ব্যর্থ হচ্ছে তারা। ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে শ্রম আইন। যা অত্যন্ত মর্মান্তিক বলেই জানিয়েছেন ঋতব্রত।
পাশাপাশি প্রাক্তন সাংসদ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, চলতি বছরেই তামিলনাড়ু রাজ্যে মহিলা কর্মীদের নিয়োগ দিতে অস্বীকার করেছিল তাইওয়ানের ‘ফক্সকন’ সংস্থা। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিলে নারীদের পরিবার ও প্রজনন-সম্পর্কিত দায়িত্বের বিষয়টি। যা চূড়ান্ত বৈষম্যমূলক এবং নারীর প্রতি অসম্মানজনক বলেই দাবি করেছেন ঋতব্রত। প্রবল বিরোধিতার চাপে পড়ে যদিও নিয়োগের শর্তাবলী পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল ‘ফক্সকন’। তাছাড়া, সাম্প্রতিক অতীতে তামিলনাড়ুতেই দীর্ঘদিন যাবৎ ন্যায্য বেতন ও সুষ্ঠু চিকিৎসা না পাওয়ায় প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ‘স্যামসাং’-এর কর্মীরা। চরম নিগ্রহের শিকার হন ৯১০ জন শ্রমিক। এমনকী কারাবাসেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেককে।
চিঠিতে ঋতব্রত এও উল্লেখ করেছেন যে, শ্রমজীবীদের মৌলিক অধিকার ও বৈধ স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তৃণমূলের সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন। একজন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী হিসেবে তাঁর আবেদন, ফক্সকন এবং স্যামসাং-সহ অন্যান্য বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে শ্রমিকদের সমান অধিকার, মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র। নিশ্চিত করুক মহিলা শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং আইনি সুরক্ষা। শীঘ্রই তাঁদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থরক্ষার্থে বৈষম্যমূলক কর্মসংস্থানের শর্তাবলী সংশোধনের আর্জিও জানিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ। কেন্দ্রীয় সরকার ও তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেই আশাবাদী তিনি।