পরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই ডিভিসিকে কড়া ভাষায় একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছেন, সময় মতো ড্রেজিং করে না ডিভিসি। আগে থেকে সতর্ক হয়ে জল ছাড়ে না। আর এর জেরে ভেসে যায় বাংলা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলি পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়েছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন থেকে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবে রাজ্য। ডিভিসি অতিরিক্ত ছাড়া জলে বানভাসি দক্ষিণবঙ্গ। প্লাবিত মানুষের পাশে থাকতে দুদিন ধরে জলের মধ্যে ঘুরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার, হুগলি-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বৃহস্পতিবার, পূর্ব মেদিনীপুরের-হাওড়া পরিদর্শন করেন। আর সেখানে গিয়ে ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “মানুষকে এ ভাবে ডোবালে ডিভিসির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখা হবে না।” শুধু তাই নয় এই নিয়ে গণআন্দোলনের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর লেখা চিঠিতে মমতা লেখেন, ২০০৯ সালের পর সবথেকে খারাপ বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে রাজ্য। আর এর জন্য দায়ী ডিভিসি। তাঁর কথায়, ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়েছে তাঁরা। এর জন্য দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্লাবিত। তিনি এও জানিয়েছেন, এটিকে তিনি ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ তাঁর অভিযোগ, ডিভিসির সঙ্গে কথা বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। আগেই ডিভিসি জল ছাড়ার নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “মানুষকে এ ভাবে ডোবালে ডিভিসির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখা হবে না।” এই বিষয় নিয়ে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন ডিভিসিকে দায়ী করছেন, এদিনের চিঠিতে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ড্রেজিং না করার জন্য ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা আগের থেকে ৩৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। এর ফলে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া জলের ফলে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায়।