ক্রমাগত ভারী বর্ষণ। তার পাশাপাশি ডিভিসির ছাড়া জল। যার জেরে যদক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা-পরিস্থিতির। সাধারণ মানুষের দুর্গতির কথা শুনেই এলাকা পরিদর্শনে যান খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের প্লাবিত এলাকায় দাঁড়িয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। চিকিৎসকদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, বললেন মমতা। উদয়নারায়ণপুর ও আমতার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উদয়নারায়ণপুরের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত। বন্যা দুর্গতদের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। ৬ হাজারের বেশি মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমতার ২ নম্বর ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত। বৃহস্পতিবার সকালে উদয়নারায়ণপুরের প্লাবিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন মমতা। “জল নামলেই সাপের উপদ্রব, ডায়েরিয়ার আশঙ্কা বাড়বে। মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা দরকার। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। চিকিৎসকদের বলব, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। প্রাণ বাঁচানোই এখন সবচেয়ে বড় কাজ। এটা রাজনীতি করার সময় নয়”, জানান মমতা।
প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১২ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই মতো টানা ৪১ দিন ধরে চলছে কর্মবিরতি। প্রথমে আর জি কর হাসপাতালের সামনে ধরনায় বসেন তাঁরা। তবে গত ১০ দিন যাবৎ স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনায় শামিল হন। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত এই ঘটনার জল গড়িয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের তরফেও বার বার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি জানানো হয়েছে। তবে নিজেদের পাঁচ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। একাধিকবার টালবাহানার পর গত সোমবার রাতে কালীঘাটের বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ওই রাতে ঘণ্টাদুয়েকের বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবির প্রায় সিংহভাগই মেনে নেয় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গেও বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে এখনও কাটেনি জট।