Abhishek Banerjee আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের ক্রমাগত কর্মবিরতির জেরে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সময়মতো মিলছে না পরিষেবা। যার জেরে প্রাণও গিয়েছে অনেকের। কোন্নগরের যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের বরাতেও লেখা ছিল সেই মর্মান্তিক পরিণতি। শোকবিহ্বল মা কবিতা ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় ভয়াবহ আঘাত নিয়ে আর জি করে গিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও কোনও ডাক্তার ছেলের চিকিৎসা করেননি। ট্রমা কেয়ার সেন্টার থেকে এমার্জেন্সি ওপিডি, বিস্তর ডেকেও কোথাও একজন ডাক্তারকেও পাননি তিনি। সোমবার তিনি জানান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর ছেলের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর খবর জানিয়ে যা লিখেছেন তা সঠিক। মঙ্গলবার এ-কথাই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। মন্ত্রী বলেন, প্রতিবাদ কখনওই দায়িত্বকে অবহেলা করে হয় না। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকে আমরাও নৈতিক সমর্থন জানাই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল জলঘোলা করার চেষ্টা করেছিল। অভিষেকের ট্যুইট যে যথাযথ সঙ্গত ছিল, তা সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়েই পরিষ্কার।
আরও পরুনঃ অবশেষে মমতার দাবির কাছে নতিস্বীকার মোদী সরকারের – কমছে জীবন ও স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি
অভিষেকের অনুরোধ, প্রধান বিচারপতির নির্দেশ মেনে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরুন। কারণ, একমাস ধরে যে কর্মবিরতি চলছে তার ফলে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। একের পর এক মৃত্যু চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার জন্য। কর্মবিরতির কারণে লক্ষাধিক মানুষ এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁর দাবি, সাড়ে ছয় লাখ রোগীর অস্ত্রোপচার হয়নি। সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, “লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমরা মূল ইস্যু থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। সবাই চেয়েছেন আরজি করের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার বিচার হোক। ২৭ দিন পরেও সিবিআই কোনও কিছুই এখনও করতে পারেনি। একজন ধরা পড়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি স্বাস্থ্যভবন মেনে নিয়েছে। তারপরও তাদের যা আবেদন তা মুখ্যমন্ত্রী মেনেছেন। সব মানার পরেও ওঁদের যদি আরও কিছু দাবি থাকে সেজন্য আলোচনার দরজা খোলা। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন।” গ্রামের যে গরিব মানুষ ডাক্তারবাবুদের ভগবান মনে করেন, তাঁদের সঙ্গে ভগবানের মতো আচরণ করার অনুরোধ করেন পার্থ। তাঁর অনুরোধ, এই ক’দিনে চিকিৎসা না পেয়ে যে ২৪ জন মারা গেল, তাদের পরিবার কোন অন্ধকারে রয়েছে একবারও সে কথা বিবেচনা করবেন না? ডাক্তারদের কর্মবিরতি ছেড়ে কাজে ফেরার অনুরোধ জানান তৃণমূল সাংসদ।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1833427304921391439