Uttar Pradesh News যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হবার পর থেকেই একের পর এক নৃশংস ও ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। হাথরাস, উন্নাও থেকে শুরু করে তালিকা দীর্ঘ হয়ে চলেছে দিনের পর দিন। তবু্ও মেলেনি কোনও সুরাহা। নারীনিরাপত্তার পরিস্থিতি এখনও সেই তিমিরেই। এর মধ্যেই ফের নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে যোগী-প্রশাসন। এক নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির দালালের ভূমিকা নিল পুলিশ! অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া কর্তব্য যে পুলিশের, সেই পুলিশই আসরে নেমে পড়ল অভিযুক্তকে বাঁচাতে। ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাপারটা মিটমাট করে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, ওই পরামর্শ মানার জন্য রীতিমতো চাপও দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারের উপরে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মাসাউলি থানা এলাকায়। জনরোষের ভয়ে অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত অঙ্কিত বর্মাকে। আটক করা হয়েছে তার ভাইকেও। থানার ইন্সপেক্টর অরুণপ্রতাপ সিংকে দায়িত্ব থেকে অপসারিত করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর মনোজ কুমারকে।
আরও পরুনঃ ৩০ কিলোমিটার দৌড় করিয়ে যুবককে গুলি করে খুন করল গোরক্ষা বাহিনী! – ফের অগ্নিগর্ভ ‘ডবল ইঞ্জিন’ হরিয়ানা
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট ওই কিশোরীকে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যায় অঙ্কিত। গাজিয়াবাদের একটি হোটেলে আটকে রেখে টানা ৩ দিন ধরে ধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে। ভয়ঙ্কর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ওই অবস্থাতেই বাড়ির সামনে কিশোরীটিকে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষক। রীতিমতো চোখ রাঙিয়ে নির্যাতিতাকে সে শাসায় এই বলে যে, বিষয়টা জানাজানি হলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। বাড়ি ফিরে সব কথা জানায় নির্যাতিতা। পরিবারের পক্ষ থেকে মাসাউলি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা নিতে চায়নি। পরে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য পরিবারের উপর চাপ দেয় পুলিশ। সেই চাপের কাছে অবশ্য নতজানু হননি নির্যাতিতার কাকা। শেষে বিষয়টি জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দেন এলাকাবাসী। মূলত এলাকার মানুষের চাপে পড়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ মোট দু’জনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।