Employment নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বারবার ফুটে উঠেছে কর্মসংস্থানের বেহাল চিত্র। এবার সে নিয়ে মোদী সরকারকে প্রশ্নবাণে বিঁধলেন কংগ্রেস সাংসদ রণদীপ সুরজেওয়ালা। কত কর্মসংস্থান হয়েছে? এই সরাসরি প্রশ্নের স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ উত্তর দিতে পারল না কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানালেন, আজেবাজে বিষয়ে রাজনীতি করার দরকার নেই! আর সেই নিয়েই উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। বিগত ২০১৪ সালে মোদী সরকার ঘোষণা করেছিল, বছরে ২ কোটি করে চাকরি দেওয়া হবে। লোকসভা ভোটের আগে ২০২২ সালের জুন মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। সেই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে রণদীপ সুরজেওয়ালা প্রশ্ন করেন, গত ১০ বছরে দেশে মোট কর্মসংস্থান কত হয়েছে? কেন্দ্রীয় সরকারই বা কত চাকরি দিয়েছে? এব্যাপারে বিগত দিনে সরকারি তরফে ভিন্ন ভিন্ন পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, সাত বছরে ৬ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে তাঁর সরকার! আবার মাত্র দু’মাস বাদে গত ১৩ জুলাই তিনিই বললেন, বিগত তিন বছরে নাকি ৮ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে! আবার তার আগের দিনই সরকারিভাবে তথ্য দেওয়া হল, বিগত ১০ বছরে মোট কর্মসংস্থান হয়েছে সাড়ে ১২ কোটি! সবথেকে বড় বিভ্রান্তি হল, কেন্দ্রীয় সরকারই লোকসভায় পরিসংখ্যান দাখিল করে বলেছে, এ পর্যন্ত ২২ কোটি কর্মপ্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছে। আর চাকরি পেয়েছে মাত্র ৭ লক্ষ ২২ হাজার। সুরজেওয়ালা বলেন, “আমরা বিভ্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীও সঠিক তথ্য জানেন না? কেন? আসল তথ্য কোনটা?”
আরও পড়ুন: ফের উত্তরবঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে মালগাড়ি! – লাইনচ্যুত ৫টি বগি, চাঞ্চল্য মালদহে
জবাবে শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সাফ জানান, “আপনারা বিভ্রান্তই থাকবেন। সেই কারণে তৃতীয়বার ওই বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছেন। আগামী দিনেও ওখানেই থাকবেন। একটা সময় ছিল যখন কোনও ডেটাই পাওয়া যেত না। আগামী দিনে আমরা প্রতি মাসে মাসে জানিয়ে দেব, কত কর্মসংস্থান হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ভারতের জিডিপি বেড়েছে। জিডিপি বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থানও বাড়ে। উন্নতির শিখর স্পর্শ করছি আমরা। সেই কর্মযজ্ঞে শামিল হোন। আজেবাজে বিষয়ে রাজনীতি করার দরকার নেই।” সুরজেওয়ালার পাশাপাশি বিরোধীরা সমস্বরে বলার চেষ্টা করেন, সংখ্যাটা কত? শ্রমমন্ত্রী অবশ্য সেই পরিসংখ্যান দাখিল করেননি। তৃণমূল কংগ্রেসের সামিরুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ভারতে বেকারত্বের হার কত? সরকার বেকারত্ব প্রতিরোধে কী করছে? মাণ্ডব্যের জবাব, “বেকারত্ব কমানোর পথ হল কর্মসংস্থান তৈরি করা।” এরপর আরজেডি এমপি মনোজ ঝা জিজ্ঞাসা করেন, যথাযথ যোগ্যতা সত্ত্বেও যারা কর্মসংস্থান পাচ্ছে না, সেই সংখ্যার হার কত? শ্রমমন্ত্রী বলেন, “সব পরিসংখ্যান আমাদের ওয়েবসাইটে আছে। আপনারা সেখানে গিয়ে দেখুন।” ফলত, কর্মসংস্থান নিয়ে সংসদে জবাব দিতে মোদী সরকার যে রীতিমতো নাস্তানাবুদ, তা বলাই বাহুল্য।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1821882912628687253
employment