Supreme court ঐতিহাসিক রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। গতকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ঘোষণা করেছে, তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতির (এসটি) মধ্যে উপ-শ্রেণিবিভাগ করতে পারবে সব রাজ্যের সরকার। অর্থাৎ তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির (এসসি/এসটি) অন্তর্ভুক্ত মানুষের কাছে সংরক্ষণের সুবিধা আরও প্রসারিত করাই মূল উদ্দেশ্য। সেজন্য এসসি ও এসটি-ভুক্তদের পশ্চাৎপদতার ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত করতে পারবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার ইভি চিন্নাইয়া বনাম অন্ধ্র রাজ্যের মামলায় ২০০৫ সালের রায় বাতিল করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি বি আর গাভাই, বিক্রম নাথ, বেলা এম ত্রিবেদী, পঙ্কজ মিত্তল, মনোজ মিশ্র এবং সতীশ চন্দ্র শর্মাকে নিয়ে গঠিত সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, পূর্বের রায়ে বলা হয়েছিল যে এসসি ও এসটিদের উপশ্রেণিবিভাগ সংবিধানের ৩৪১ অনুচ্ছেদের বিপরীত যা রাষ্ট্রপতিকে এসসি ও এসটির তালিকা প্রস্তুত করার অধিকার প্রদান করে৷ এদিন রায়দানের সময় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, ‘সাব-ক্লাসিফিকেশন’-এর ক্ষেত্রে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় কোনও বাধা নেই। পদ্ধতি ও পরিস্থিতিগত বৈষম্যের কারণে এসসি-এসটিদের মধ্যেও সবাই মই বেয়ে উপরে উঠতে পারেন না। বৈষম্য বোঝাতে উদাহরণও টেনেছেন সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি বি আর গাভাই। তাঁর বক্তব্য, “যে সেন্ট পল’স হাই স্কুল ও সেন্ট স্টিফেন’স কলেজে পড়ছে, তার সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার ছোট্ট গ্রামে পড়াশোনা করা শিশুকে একই গোত্রে ফেলা যায় না। এটি সংবিধানের সাম্যের নীতিকে প্রতিফলিত করে না। আর একথা বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।” এসসি-এসটিদের মধ্যে যাঁরা ইতিমধ্যেই উন্নতির শিখরে, তাদের শনাক্ত করে সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন বি আর গাভাই।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1819290374713589841
supreme court