নরেন্দ্র মোদীর আমলে কার্যত সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় রেল ও দুর্ঘটনা! গত কয়েক বছরে একাধিক প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। ২০২৩ সালে বাহানগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, চলতি বছরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের বিভীষিকা এখনও দগদগে দেশবাসীর মনে। মঙ্গলবারই লাইনচ্যুত হয়েছে হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের ১৮টি বগি। দুর্ঘটনায় এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আহত বহু। সেই বিভীষিকার রেশ কাটতে না কাটতেই ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল একটি মালগাড়ি। উল্লেখ্য, গত জুনের ১৭ তারিখ এই একই এলাকায় এলাকায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। প্রাণ গিয়েছিল ১১ জনের। সেই ঘটনার স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই বুধবার একই এলাকায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ল মালগাড়ি। উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেছেন তিনি।
মমতা লিখেছেন, “আজ আরও একটা ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল। দুর্ঘটনাস্থল সেই উত্তরের ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি। মাত্র ৬ সপ্তাহ আগে এই একই জায়গায় আরও একটি মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যা হচ্ছে, আমরা তা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন।” ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানিতে লাইনচ্যুত হয়েছে মালগাড়ির দুটি কামরা। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। এই দুর্ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই ওই লাইনে বিঘ্ন ঘটেছে রেল পরিষেবায়। রেল সূত্রের খবর, বুধবার রাঙ্গাপানির নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শেডের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময় মালগাড়ির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ঘটনার পরই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। রাঙ্গাপানি রেলগেট বন্ধ রাখা হয়েছে। লাইনচ্যুত বগিগুলো সরানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলকর্তারা। যদিও দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কেউই কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে একের পর এক এহেন ট্রেন দুর্ঘটনার স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক। অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক মহল।