Budget তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে বিতর্ক। এনডিএ-শাসিত রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দরাজ হস্তে দান করলেও বাংলা-সহ অন্যান্য অ-বিজেপি রাজ্যগুলির বরাতে সেভাবে জোটেনি কিছুই। আরও একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছে বাংলা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করার পরই এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজনৈতিক স্বার্থে শরিকদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। আজ, বুধবার বাজেটের জবাবি ভাষণে দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখলেন অভিষেক। “এবারের বাজেটে বেছে বেছে তিনটি রাজ্যকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত করা হয়েছে। সেগুলো হল তেলেঙ্গানা, বাংলা, কর্ণাটক। এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। তিন রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে অবিজেপি দল। সেকারণে এই বঞ্চনা”, বক্তব্য অভিষেকের।
পাশাপাশি, BUDGET-র এক একটি অক্ষরের ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। তাঁর কথায়, “𝐁 for 𝐁𝐞𝐭𝐫𝐚𝐲𝐚𝐥। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিজেপির ১০ বছরের শাসনকালে মানুষকে ৪০ টাকা দিয়ে আলু কিনতে হচ্ছে, গ্যাসের দাম ১ হাজার টাকা। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হল বিজেপির আচ্ছে দিন। 𝐔 for 𝐔𝐧𝐞𝐦𝐩𝐥𝐨𝐲𝐦𝐞𝐧𝐭। মোদীর আমলে বেকারত্বে অতীতের পঞ্চাশ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। 𝐃 for 𝐃𝐞𝐩𝐫𝐢𝐯𝐞𝐝 অর্থাৎ বঞ্চনা। নারী থেকে শিশু, সকলে দশ বছরে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। বিধানসভা ভোটে হারের পর থেকে বাংলার ১০০ দিনের প্রকল্প, আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। 𝐆 for 𝐆𝐮𝐚𝐫𝐚𝐧𝐭𝐞𝐞, জি ফর ঘোটালা। আর গ্যারেন্টি মানে জিরো ওয়ারেন্টি। 𝐄 for 𝐄𝐜𝐜𝐞𝐧𝐭𝐫𝐢𝐜 অর্থাৎ অদ্ভুত। আর 𝐓 for 𝐓𝐫𝐚𝐠𝐞𝐝𝐲। সরকারের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হল কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করা। বিরোধী দলের লোকেদের মুখ বন্ধ করতে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা, আমার আইনজীবী কাউকে ছাড়া হয়নি। এজেন্সি দিয়ে আমার পুরো পরিবারকে বারেবারে হেনস্থা করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এরপর কৃষকের বিষয়টি ওঠে। তখনই অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন অভিষেক। ওম বিড়লা বলেন, তিনি স্পিকারের চেয়ারে বসে বলছেন, তার মানে শুনতে হবে। অধ্যক্ষের বক্তব্যের সমর্থন জানিয়ে হাততালি দিয়ে ওঠেন বিজেপি-সহ এনডিএ-র শরিকরা। এরপরই তাঁদের সবাইকে কটাক্ষে বেঁধেন অভিষেক। বলেন, “যাঁরা আজ তালি বাজাচ্ছে তাঁদের জন্য সাতশো কৃষক মারা গেছেন। এরা একজনকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন?” স্পিকার ওম বিড়লার উদ্দেশ্যে অভিষেক বলেন, “৫০ বছরের পুরনো কথা বললে আপনি চুপ থাকেন, আট বছর আগের নোটবন্দির প্রসঙ্গে বলতে গেলে আপনি থামিয়ে দেন।” বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথা মনে করিয়ে তাঁকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক। “সবকা সাথ সবকা বিকাশ মানে কি? মানে জো হামারে সাথ, হাম উনকো সাথ। একথা বাংলার বিরোধী দলনেতাই বলেছেন”, সাফ জানান তৃণমূল সাংসদ।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1816073519739891985
budget