রাজ্যজুড়ে শাকসব্জির ঊর্ধ্বগামী মূল্য নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর শাকসব্জির বাজারদর কিছুটা কমেছে। খোলা বাজারে জিনিসপত্রের দাম আয়ত্তে রাখতে আগামীতেও নজরদারি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১০ দিনের মধ্যে আনাজপাতির দাম কমাতে হবে এবং ৭ দিন অন্তর এই দফতরগুলিকে নিয়ে বৈঠক করতে হবে। তাঁর সেই নির্দেশের পর অষ্টম দিনে এদিন ফের পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। বৈঠকে ছিলেন অর্থ দফতর, কৃষি দফতর, কৃষি বিপণন দফতর, উদ্যানপালন, পঞ্চায়েত-সহ ১১টি দফতরের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি (আইন শৃঙ্খলা), ইবি, কলকাতা পুরসভার কমিশনার প্রমুখও ছিলেন। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর থেকেই বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দ্রব্যমূল্য তথা বাজারদর যাচাই করতে দেখা গিয়েছে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, শহর থেকে জেলা, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মধ্যস্বত্বভোগী অর্থাৎ মিডলম্যানদের যোগ এবং যার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, সে-সব নিয়েও খোঁজ নিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে সকলের তরফেই একটা রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকাকে। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সক্রিয়তায় দাম কিছুটা কমেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে আগামী দিনে অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ‘সুফল বাংলা’ স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় শাকসব্জি পৌঁছে দিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করার ব্যাপারে রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে নবান্ন সূত্র। “মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর থেকে এই মুহূর্তে কাঁচাসবজি থেকে ফল, মাছ, সবকিছুর দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে। তবুও এখনও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফার জন্য বেশি দামে বিক্রি করছে৷ আমরা গোটা বিষয়টি নজরে এনেছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যেই দাম আরও কিছুটা কমে যাবে”, বৈঠক প্রসঙ্গে জানান টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে।