রাজ্যজুড়ে শাকসব্জির চড়া দাম রুখতে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জেলায় জেলায় সবজির দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি করা হয় টাস্ক ফোর্স। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাজারে হানা দেয় তারা। নিয়ন্ত্রণে আসে দাম। লেকমার্কেট এবং সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউন-সহ বিভিন্ন এলাকায় সুফল বাংলার আরও ১১টি ভ্রাম্যমাণ স্টল চালু করে রাজ্য। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রাজ্যজুড়ে সুফল বাংলার ৪৬৮টি স্টল রয়েছে। সুফল বাংলার স্টল থেকে বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমে পাওয়া যায় সব কিছুই। পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে মঙ্গলবার প্রত্যেক জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বাজারে সব্জির দাম আরও কমাতে জোগান বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলা হয়েছে অভিযান বাড়াতে হবে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকেও। একইসঙ্গে সুফল বাংলার স্টল আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
পাশাপাশি, জোগান আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই উপায় নিয়েও এদিনের বৈঠকে কথা হয়। পাইকারি বিক্রেতারা সব্জি, আলু, পেঁয়াজের বেআইনি মজুত রাখছেন কি না, সেদিকে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেআইনি মজুত আটকাতে পারলেই জোগান আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। এদিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদেরও এব্যাপারে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের রাস্তায় নেমে বাজারে বাজারে পরিদর্শনের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। সুফল বাংলার স্টল সংখ্যাও যতটা সম্ভব, বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বিশেষত শহরাঞ্চলের পাড়ায় পাড়ায় একটা করে স্টল খুলতে বলা হয়েছে। এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং প্যাক্সগুলিকে সুফল বাংলা স্টল চালু করার ছাড়পত্র দিতে চলেছে নবান্ন। যার ফলে আমজনতার স্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।