উত্তরবঙ্গ ক্রমাগত বর্ষণে ভিজলেও এখনও সেভাবে বৃষ্টি পায়নি দক্ষিণ বাংলার জেলাগুলি। জুলাইয়ের মাঝে এসেও ঝমঝমে বর্ষার দেখা নেই কলকাতায়। আজ সকালে কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিতে বৃষ্টি নামলেও তার কিছুক্ষণ পর উঠল রোদ। বাড়ল আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তে ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গ বৃষ্টিতে ভারী ভিজবে। অন্যদিকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে উত্তরবঙ্গে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আগামী ১৯ জুলাই, শুক্রবার নাগাদ নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ-উড়িষ্যা সংলগ্ন উপকূলে এই নিম্নচাপের প্রভাব সবথেকে বেশি থাকবে। মৌসুমী অক্ষরেখা সম্বলপুর ও পুরী হয়ে দক্ষিণ পূর্বদিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পর্যন্ত বিস্তৃত। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে নাগাল্যান্ড ও গুজরাটে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড-উড়িষ্যা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত।
আগামী রবিবার দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন জেলা এবং উড়িষ্যা-সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক পশলা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। মেঘাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। তবে পরের কয়েকদিন ক্রমশ বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার আবার পরিবর্তন হবে। ফের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। উপকূলের জেলা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে। শনি ও রবিবার বৃষ্টি ক্রমশ বাড়বে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গলবার। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কোচবিহার, মালদহ উত্তর, দক্ষিণ দিনাজপুরে। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। কলকাতায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ৩৩.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৫ থেকে ৯৪ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে সামান্য। বুধ ও বৃহস্পতিবার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে। বৃষ্টি না হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বহাল থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহবিদরা।