বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদ ও সাম্প্রদায়িকতা। বারবার হিন্দুত্ব আর হিন্দু ধর্মের কথা বলে জিগির তুলেছেন পদ্ম-নেতারাও। আর এসবে ভর করেই ভোট-বৈতরণী পেরিয়েছে বিজেপি। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে চিঁড়ে ভেজেনি পুরোনো কৌশলে। অযোধ্যায় মোদী সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে রামমন্দির বানালেও সেখানে হেরেছে পদ্ম-পার্টি। আর এবার উপনির্বাচনে আরও এক ধর্মস্থানে হারের মুখ দেখতে হল তাদের। শিব, উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথে বিধানসভার উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত গেরুয়াশিবির। বদ্রীনাথের পাশাপাশি সে রাজ্যের মঙ্গলৌর আসনটিও কংগ্রেস পেয়েছে। উপনির্বাচনে বদ্রীনাথ আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছিল রাজেন্দ্র ভাণ্ডারিকে। তিনিই ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে ওই আসনে জিতেছিলেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু দলবদলু রাজেন্দ্রর মুখে ঝামা ঘষে দিল বদ্রীনাথবাসী।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ওই আসন ছিল বিজেপির দখলে। ২০২২ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস বদ্রীনাথ বিধানসভা আসনটি পায়। আসনটি এবার উপনির্বাচনেও ধরে রাখল তারা। বদ্রীনাথ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল বিজেপি। ভাণ্ডারিকে প্রার্থী করে কংগ্রেস ভোটারদের নিজেদের দিকে টেনে আনার ছক কষেছিল বিজেপি, তা পুরোপুরি ফ্লপ। বিজেপি প্রার্থী ভাণ্ডারি পেয়েছেন ২২৯৩৭ ভোট। অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী লাখপত সিংহ বুটোলা পেয়েছেন ২৮১৬১ ভোট। বিজেপি প্রার্থী ভাণ্ডারিকে ৫২২৪ ভোটে হারিয়েছেন কংগ্রেসের বুটোলা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই কি তবে বিজেপির হিন্দুত্ব-রাজনীতির শেষের শুরু? দুশ্চিন্তা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে পদ্ম-নেতৃত্বের অন্দরে।