চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ধূলিসাৎ হয়েছে পদ্মশিবিরের ‘চারশো পার’-এর হুঁশিয়ারি। দেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ২৪০ ছুঁতেই নাভিশ্বাস উঠেছে তাদের। পাশাপাশি, বাংলার বুকেও শোচনীয় ফল করেছে তারা। তার পর থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়েছে পদ্ম-পরিবারের অন্দরে। ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে বঙ্গ বিজেপির দলীয় অন্তর্ঘাত। এবার ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব। লোকসভা ভোটের পর আগামী ১৭ জুলাই কলকাতায় কর্মসমিতির বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপি। ওই দিনই বিজেপির কার্যালয় মুরলীধর সেন লেনের সামনে লাগাতার সত্যাগ্রহ এবং অবস্থান বিক্ষোভে নামতে চলেছে আদি বিজেপির একাংশ। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য নেতৃত্বকে নিশানা করেছে আদি বিজেপি পরিবার। ‘বিজেপি বাঁচাও’ মঞ্চের নামে প্রকাশ করা হয়েছে পোস্টার।
পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির সংগঠন থেকে কয়েকজন নেতার অপসারণ-সহ নানান দাবি নিয়ে যেদিন বিজেপির রাজ্য কমিটি ভোটে ভরাডুবির কারণ পর্যালোচনা করতে বসছে, ঠিক সেদিনই বিজেপির আরেক শিবির কলকাতায় দলের দফতরের সামনেই আন্দোলনে নামছে। এর আগেও মুরলীধর সেন লেনের সামনেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করে আন্দোলনে নামতে দেখা গিয়েছে ওই মঞ্চকে। এবারও বাংলার পদ্ম-নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হতে চলেছেন তাঁরা। এতে বিজেপি নেতৃত্বের মাথাব্যথা আরও বাড়ল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।