নরেন্দ্র মোদীর আমলে বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হলেও মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে রেহাই পায়নি দেশের আমজনতা। বারবার পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্যপণ্য, জ্বালানির দাম। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল পরিষেবার খরচ। ভোট মিটতেই টান পড়েছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত ভারতবাসীর পকেটে। এক লাফে কমবেশি ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে মোবাইল রিচার্জের ব্যয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি, বহু গ্রাহকের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা বলছে, মোবাইলে কথা বলতে বলতে বারবার ফোনের সংযোগ কেটে যায়। ফের নতুন করে ফোন করতে হয়। কাউকে ফোন করার পরও সহজে সংযোগ করা যায় না, এমন অভিজ্ঞতাও কম নয়। বাড়িতে হোক বা বাড়ির বাইরে কথা বলার বিষয়ে মোবাইল সংস্থাগুলির পরিষেবায় বিরক্তি বাড়ছে আমজনতার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ রাজ্যের টেলিকম গ্রাহকদের জন্য দু’টি সার্কেল আছে। কলকাতা ও শহরতলির জন্য কলকাতা সার্কেল এবং রাজ্যের বাদবাকি অংশের জন্য ওয়েস্টবেঙ্গল সার্কেল। এই সার্কেল দু’টিতে টেলিকম সংস্থাগুলি কেমন পরিষেবা দিল, তার উপর রিপোর্ট পেশ করেছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ট্রাই। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ফোন কল নিয়ে কারও কোনও সমস্যাই নেই। সবক’টি টেলিকম সংস্থাই পাশ করে গিয়েছে। কথা বলার সময় বারবার ফোন কেটে যাওয়াকে বলা হয় কল ড্রপ। কথা বলার ক্ষেত্রে সামান্য কল ড্রপ হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু তা মাত্রাতিরিক্ত হলে সে ঘটনা মোবাইল সংস্থার পরিষেবার গাফিলতি হিসেবে ধরা হয়। এক্ষেত্রে কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যদি ১০০টি ফোন কলের মধ্যে দু’টি কল কথা বলতে গিয়ে কেটে যায়, তাহলে তা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ স্বাভাবিক কল ড্রপের হার এক্ষেত্রে দু’শতাংশ। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রাজ্যে কল ড্রপে সমস্যা নেই একেবারেই।