কার্যত নস্যাৎ হয়ে গেল এক্সিট পোলের পূর্বাভাস। বাংলা জুড়ে জয়জয়কার তৃণমূলের। মঙ্গলবার, বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ৩১টিতে এগিয়ে তৃণমূল। ১০টিতে বিজেপি। ১টিতে কংগ্রেস। বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকেই এই ট্রেন্ড বজায় রয়েছে। মাঝে একবার ১টি আসন কমলেও এখনও পর্যন্ত ৩০টির নীচে নামেনি শাসকদলের এগিয়ে থাকার সংখ্যা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই ৩১টি আসনের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি বাদ দিলে প্রায় ২৫টি আসনে তৃণমূল গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক এগিয়ে রয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে। জয়ের ইঙ্গিত সামনে আসতেই কালীঘাট থেকে জেলায় জেলায় উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন কর্মীরা। রাজ্যজুড়ে আবির খেলায় মেতেছেন তাঁরা। শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে আনন্দে মেতে ওঠেন কর্মীরা। অনেকের হাতে ছিল কাঁসর ঘণ্টাও। উচ্ছ্বাসে মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কালীঘাট থেকে কাকদ্বীপ, হুগলি থেকে হাওড়া-সবর্ত্রই গণনাকেন্দ্রের বাইরে আবির খেলায় মেতে ওঠেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার শেষ দফার ভোটের পর যে সব বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে তার অধিকাংশই জানিয়েছিল, বাংলায় তৃণমূলের চেয়ে ভাল ফল করবে বিজেপি। টুডেজ চাণক্য ও এক্সিস মাই ইন্ডিয়া ৪২টির মধ্যে ৩০টি বিজেপির ঝুলিতে পড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। তবে সমীক্ষকদের ওই পূর্বানুমান রবিবারই খারিজ করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছিলেন, “এই এক্সিট পোল বিজেপির তৈরি করা। বিজেপি এটা তৈরি করে মিডিয়াকে খাইয়াছে। আমি এই মিডিয়া ক্যালকুলেশন মানি না। এই মিডিয়া হল মোদীয়া। আমরা ফিল্ডে কাজ করেছি। লোকের চোখ দেখেছি। তাতে আমার মনে হয়নি লোকে আমাদের ভোট দেবে না। আমি দলের কর্মীদের বলেছি স্ট্রং থাকতে।” একই সুর শোনা গিয়েছিল অভিষেকের সুরে। গণনা শুরু হতেই অবশ্য ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে, গতবারের চেয়েও এবারে বেশি আসন পেতে চলেছে ঘাসফুল শিবির।