সেই জহরলাল নেহেরুর আমল থেকে রায়বরেলী কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত। ১৯৬২ এবং ১৯৯৯ সাল বাদ দিয়ে এই কেন্দ্রে সব সময়ই নেহরু-গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী হয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই কেন্দ্র থেকে তিন বার জয়ী হয়েছেন। সোনিয়া গান্ধী টানা পাঁচ বার এই কেন্দ্রে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন। এবার নিজের পুরনো কেন্দ্র অমেঠীর বদলে সেই রায়বরেলী থেকেই প্রার্থী হলেন রাহুল গান্ধী। দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার সকালে কংগ্রেসের তরফে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। আর আজই মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি।
শুক্রবার সকালে রাহুলের পুরনো কেন্দ্র অমেঠীতেও দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সেখানে গান্ধী পরিবারের ‘আস্থাভাজন’ কিশোরীলাল শর্মাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোট অমেঠী এবং রায়বরেলীতে। শুক্রবারই ছিল এই দুই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। তাই প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার দিনই মনোনয়ন পেশ করতে হবে রাহুল এবং কিশোরীলালকে।
ইতিমধ্যেই অমেঠী থেকে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ স্মৃতি ইরানি মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছেন। রায়বরেলীতে পদ্মশিবির প্রার্থী করেছে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী দীনেশপ্রতাপ সিংহকে। ২০০৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর অমেঠীর সাংসদ ছিলেন রাহুল। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে তিনি স্মৃতির কাছে হেরে যান। অন্য দিকে, রায়বরেলীতে এবারের বিজেপি প্রার্থী দীনেশকে হারিয়েই ২০১৯-এ জয়ী হন সোনিয়া। কিন্তু সোনিয়া রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় এবার লোকসভা ভোটে তাঁর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হলেন রাহুল।