সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এর সানডে স্পেশাল এপিসোডে বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কিছুদিন আগে ‘দিদি’র সঙ্গে দেখা করতে নবান্নতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়েছে ব্রিগেডের জনগর্জন সভায়। হগলি কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে রচনার নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এবার সিঙ্গুর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজের রাজনৈতিক জীবনের সফর শুরু করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে সেখানে পৌঁছে সিঙ্গুরের ডাকাতে কালীর মন্দিরে পুজো দেন রচনা। তার পর পদযাত্রা করে যান রতনপুর লোহাপট্টিতে। এদিন দিনভর নিজের কেন্দ্রে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। সন্ধ্যায় চুঁচুড়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করার পরেই রচনা জানিয়েছিলেন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিঙ্গুরে জমি দখলের বিরুদ্ধে নাছোড় লড়াই করেছিলেন, জমি আন্দোলনের সেই আঁতুড়ঘর, সিঙ্গুর থেকেই তিনি লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করতে চান। হলও ঠিক তাই। শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ রচনা পৌঁছন সিঙ্গুরে। সেখানে ঢাক, ঢোল বাজিয়ে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি এবং পুষ্পবৃষ্টির মধ্যে দিয়ে প্রার্থীকে বরণ করে নেন স্থানীয় মহিলারা। প্রথমে ডাকাতে কালীর মন্দিরে পুজো দেন রচনা। তার পর পুজো দেন পাশের শিবমন্দিরে। পুজো সেরে পদযাত্রা করে পৌঁছে যান রতনপুর লোহাপট্টিতে। সেখানে হুগলি লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার বিধায়ক এবং নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক সেরে সেখানেই একটি কর্মিসভাও করার কথা রচনার। তার পর রচনা ধনিয়াখালি বাসস্ট্যান্ডে একটি সভা করবেন। সন্ধ্যা ৭টায় চুঁচুড়ার তালডাঙার রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে রচনার পুজো দেওয়ার কথা তাঁর।