দিন কয়েক আগেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বহু বাসিন্দার আধার কার্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে আধার-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে একে একে আঝাপুর, আবুজহাটি, জুথিহাটি গ্রামের মতো জামালপুরের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায়। সোমবারই জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের আমড়া, নুরি, তেলে সমেত আরও কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৮৮টি পরিবারের কাছে আসে আধার ডিঅ্যাক্টিভেশনের চিঠি। সে কথা জানতে পেরে ব্লকের বেশ কিছু গ্রামে ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এলাকার বিধায়ক অলোক মাঝি। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি কোনওরকম সমস্যায় স্থানীয় থানা, ব্লক অফিস ও প্রয়োজনে তাঁকে সরাসরি জানানোর কথা বলেন বিধায়ক।
বিধায়কের বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের সভা থেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে এই পরিবারগুলির পাশে রাজ্য সরকার রয়েছে। সরকারের কোনও সুবিধা থেকে এঁরা বঞ্চিত হবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এনআরসি, সিএএ চালু করার এটা একটা প্রাথমিক ধাপ বলেও প্রচার চালিয়েছে এলাকার বিজেপির লোকেরা। সে কথা গ্রামের মহিলারাই আমাকে জানিয়েছেন। এভাবে ভয় দেখিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের স্বাধীন ভাবে বাঁচার সুখ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। এদিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সেটাই আমি জানিয়ে এসেছি।’
অন্যদিকে, সোমবার মেমারি-১ ব্লকের নিমো ২ পঞ্চায়েতের বেশ কিছু পরিবারের হাতে আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি আসায় সেখানেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ওই এলাকায় গিয়ে ওই সমস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন জেলা পরিষদের ভূমি ও সেচ দপ্তরের কর্মাধক্ষ্য নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। নিত্যানন্দ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নামালেও এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার দু’টি আসনে যে ওরা হারবে সেটা বুঝে গিয়েছে বিজেপি। সাধারণ মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। ভোটে পারবে না বুঝেই এখন পরিকল্পিত ভাবে আধার-আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন।’