সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হুগলির আরামবাগে সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে যাওয়ার সময় হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ করছে। রাজ্য মহিলা কমিশনকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
কেরল সফর কাটছাঁট করে সোমবার সন্দেশখালি গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সফর নিয়েও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে যেখানে খুশি যেতেই পারেন। আমিও রাজ্য মহিলা কমিশনকে পাঠিয়েছিলাম। তারা রিপোর্ট দিয়েছে।’ মমতার সংযোজন, ‘আর যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’
গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে পলাতক শাহজাহান। সেই মাসখানেক পর সম্প্রতি আবার উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। দফায় দফায় সেখানে অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অশান্তির ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের এক জন তৃণমূলের উত্তর সর্দার। সন্দেশখালিকাণ্ডে নাম জড়ানোর পরেই উত্তমকে সাসপেন্ড করে শাসকদল। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ ও সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে।