ফের গদি উল্টেছে বিহারে। নীতীশ কুমার ‘পাল্টি’ খেয়ে এনডিএ-তে চলে যাওয়ায়, ভেঙেছে মহাগঠবন্ধন জোট। আর জোট ভাঙতেই নীতীশের প্রাক্তন জোটসঙ্গীর বাড়িতে হাজির পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে হঠাৎই বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। এদিকে, পুলিশ আসার খবর শুনেই ভিড় জমান তেজস্বীর সমর্থকরা। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু কেন তেজস্বীর বাড়িতে এল পুলিশ?
বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কদের অপহরণের অভিযোগ উঠেছে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে। সেই সূত্রেই মধ্যরাতে আরজেডি নেতার বাড়িতে হাজির হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছেস পটনা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল যে আরজেডি বিধায়ক চেতন আনন্দকে অপহরণ করা হয়েছে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে তেজস্বী যাদবের বাড়িতে বিধায়ককে আটকে রাখা হয়েছে।
বিধায়কের খোঁজেই মধ্যরাতে তেজস্বীর বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। ডাকাডাকির পর বেরিয়ে আসেন ওই ‘অপহৃত’ বিধায়ক। পুলিশকে জানান, নিজের ইচ্ছাতেই তেজস্বীর বাড়িতে রয়েছেন তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষণ কথা চলে পুলিশের সঙ্গে, পরে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ওই বিধায়ক।
এদিকে, তেজস্বীর বাড়িতে পুলিশি হানার খবর রটে যেতই বাংলোটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে কার্যত দুর্গ বানিয়ে ফেলেন আরজেডি সমর্থকরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে স্লোগান। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী।