সন্দেশখালির পথে জায়গায় জায়গায় তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বাসন্তী হাইওয়ে ধরে তাঁর যাওয়ার পথে রাজবাড়ি, সরবেড়িয়া, আকুঞ্জি পাড়া, মিনাখা-সহ একাধিক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। তুমুল বিক্ষোভে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। রাজ্যপালের কনভয় যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে তারজন্য তৎপর ছিল পুলিশ।
কেন্দ্র কেন বকেয়া টাকা দিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এদিন বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। প্ল্যাকার্ডে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার বকেয়া টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়। অবরোধ বিক্ষোভে বাসন্তী হাইওয়েতে বামনপুকুর বাজারের কাছে রাজ্যপালের কনভয় বেশ কিছুক্ষণ আটকে পরে। যদিও তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হটিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কনভয় ফের রওয়া হয় সন্দেশখালির পথে।
মোড়ে মোড়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মধ্যে দিয়েই বেলা ১২ টা নাগাদ ধামাখালি পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখানে সাময়িক বিরতি নেন। সোমবার যে তিনি সন্দেশখালির পরিস্থিতি দেখতে যাবেন একথা রবিবার রাতেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কেরল সফর কাটছাঁট করে বেঙ্গালুরু হয়ে এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে সোজা সন্দেশখালির পথে রওনা হন। তার আগে কলকাতায় বলেন, “কেরালার গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছেড়ে এসেছি। সন্দেশখলিতে আমার নজর ছিল। আজ নিজে যাচ্ছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করব।”