প্রথমবার সংসদ হওয়ার পর থেকেই ঘাটালের বন্যা রোধে সংসদে দাঁড়িয়ে বারবার বাংলায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু গত ১০ বছরেও তা নিয়ে কাজ তেমন এগোয়নি। এর নেপথ্যে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ রয়েছে। আর সেখানেই কার্যত চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন তারকা সাংসদ দেব। তৃতীয়বার সাংসদ হলে ঘাটালবাসীর ৭০ বছরের স্বপ্নপূরণ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়। কেন্দ্র সরকার না করলে রাজ্য সরকারই সেই কাজে এগোবে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে সেই ইঙ্গিত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে বাজেট অধিবেশনই ছিল দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ অধিবেশন। সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে যোগ দিয়ে এবারও দেব বাংলায় নিজের বক্তব্য রাখেন। বলেন, ‘সংসদে দাঁড়িয়ে প্রথমদিন যেমন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কথা বলেছিলাম, আজকে আমার শেষদিন পার্লামেন্টে, আজকেও আমি সেপ্রসঙ্গেই কথা বলব। সেই ১৯৫০ সাল থেকে ঘাটালের মানুষ ভুগছেন বন্যায়। তাঁদের অনেকদিনের কষ্ট। এটা তৃণমূল-বিজেপির সমস্যা নয়। এটা বাংলার মানুষের সমস্যা। বন্যার জেরে ঘাটালের মানুষের খুব দুর্ভোগ হয়। তাই আমি আপনার মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাতে চাই সাংসদ হিসেবে আমি থাকি বা না থাকি, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটা যেন বাস্তবায়িত হয়। ঘাটালের প্রতিটা মানুষ যেন ভাল থাকে।’
শনিবার মমতা-অভিষেকে সঙ্গে দেবের বৈঠকেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথাই উঠে এসেছে। আর তা বাস্তবায়িত করাটাকেই এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন তারকা সাংসদ। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এর জন্য আমি সারাজীবন রাজনীতি করতে চাই। রবিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে দেব বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আর ভোটে দাঁড়াব না। দলের হয়ে পিছন থেকে শুধু প্রচার করব। কিন্তু অভিষেক, দিদি আমাকে এমন একটা প্রস্তাব দিলেন যে আমার মনে হল, এর জন্য সারাজীবন রাজনীতি করা যেতে পারে। ঘাটালবাসীর ৭০ বছরের স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলেছে রাজ্য সরকার, দিদির হাত ধরে। আশা করি, পরের টার্মে মাস্টার প্ল্যানটা হয়ে যাবে। কেন্দ্র যদি করে তো ভালো, নাহলে দেখা যাক। এটা মানুষের কাজ, করতেই হবে।’